আম্পায়াররা বোলারদের টুপি, সোয়েটার রাখলে ক্ষতি কী?

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে বোলারের টুপি রাখতে হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হককেছবি: প্রথম আলো

করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর পাল্টে গেছে জীবনযাপন। স্যানিটাইজার ও মাস্ক এখন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ক্রিকেট মাঠে খেলোয়াড়দের মুখে মাস্ক দেখা না গেলেও স্যানিটাইজার দিয়ে ঠিকই হাত ধুতে হয়।

খেলোয়াড় থেকে অফিশিয়ালদের ‘জৈব সুরক্ষিত’ পরিবেশে থাকার ফলে পাল্টে গেছে মাঠের কিছু প্রথাও। বোলিংয়ের সময় আগে নিজেদের টুপি, রোদচশমা, সোয়েটার খুলে আম্পায়ারকে দিতেন বোলাররা। কিন্তু এখন কি তা দেখা যায়?

না, দেখা যায় না। করোনা মহামারি শুরুর পর এ অস্থায়ী নিয়ম বেঁধে দিয়েছে আইসিসি। ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছিল, ‘মাঠে খেলোয়াড় ও আম্পায়ারদের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। খেলোয়াড়দের নানা জিনিস (টুপি, সোয়েটার, রোদচশমা, তোয়ালে) আম্পায়ার কিংবা সতীর্থকে দেওয়া যাবে না।’

মাঠের খেলায় আইসিসির এ নিয়ম স্বাভাবিকভাবেই স্ববিরোধী হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে।

ভেবে দেখুন, রোদচশমা, সোয়েটার কিংবা টুপি বোলাররা যদি আম্পায়ার কিংবা সতীর্থকে দিতে না পারেন, তাহলে বোলিংয়ের সময় এসব রাখবেন কোথায়?

প্রতি ওভারের আগে তো আর এসব মাঠের বাইরে রেখে আসা সম্ভব না? খেলোয়াড়দের তাই বোলিংয়ের আগে এসব অধিনায়কের কাছে রাখতে দেখা যায়। আইসিসির বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী সেটাও তো নিয়ম লঙ্ঘন, না কি?

হয়তো উপায় নেই বলেই এটা করছেন বোলাররা। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদিও এবার আইসিসির এ নিয়মের ফোকর খুঁজে বের করেছেন।

টুইটে প্রশ্নটি রেখেছেন পিএসএলে মুলতান সুলতানের হয়ে খেলা ৪০ বছর বয়সী অলরাউন্ডার, ‘প্রিয় আইসিসি, একই জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে থেকে ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়–ম্যানেজমেন্ট হাত মেলালেও, আম্পায়ারদের কেন বোলারদের টুপি ধরে রাখতে দেওয়া হয় না?’

আফ্রিদির এই প্রশ্ন কিন্তু ফেলে দেওয়ার মতো নয়। যেকোনো সিরিজে ক্রিকেটার, আম্পায়ার ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সবাইকে একই জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে রাখা হয়; অর্থাৎ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থেকেই মাঠে নামেন খেলোয়াড় ও আম্পায়াররা।

তাহলে বোলারদের টুপি, সোয়েটার কিংবা রোদচশমা আম্পায়ারদের ধরে রাখায় আইসিসির সমস্যা কোথায়? আর যদি একান্তই সমস্যা থাকে, তাহলে ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়েরা কেন বাকিদের সঙ্গে হাত মেলান?

পিএসএলে এবার মুলতান সুলতানের হয়ে খেলছেন আফ্রিদি
ছবি: টুইটার

তাহলে সেখানেও তো সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে, যদি বোলারদের জিনিসপত্র ধরে রাখায় সমস্যা দেখা হয়। এবার পিএসএলে আফ্রিদি সম্ভবত এমন কোনো সমস্যায় পড়েছেন, হয়তো সে কারণেই তাঁর এই টুইট।