বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেক সেই ২০০০ সালে। সে তুলনায় আফগানিস্তান টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছে সদ্যই। ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে প্রথম টেস্ট খেলতে নামা ওই আফগানিস্তানই এখন এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো দল। অন্তত ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির সর্বশেষ প্রকাশিত টেস্ট র্যাঙ্কিং এ কথাই বলছে। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তানের অবস্থান এখন নয়ে, তাদের চেয়ে দুই পয়েন্ট কম নিয়ে বাংলাদেশ আছে দশে।
আগের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশই ছিল নয়ে, জিম্বাবুয়ে ছিল দশে। এর ঠিক পরেই ছিল আফগানদের অবস্থান। কিন্তু এবার বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়েকে একসঙ্গে টেক্কা দিয়ে দুই ধাপ ওপরে উঠে এসেছেন রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীরা। বুধবার প্রকাশিত হওয়া র্যাঙ্কিংয়ে দেখা গেছে, বাংলাদেশের পয়েন্ট ৫৫, আফগানদের ৫৭।
এ পর্যন্ত চারটি টেস্ট খেলেছে আফগানিস্তান। জিতেছে দুটিতে, বাকি দুটিতে হার। দুই জয়ের মধ্যে আবার একটা জয় বাংলাদেশের বিপক্ষেই। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২২৪ রানে আফগানিস্তানের কাছে হেরে বসে বাংলাদেশ।
২০১৮ বিশ্বকাপের পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদশ যতগুলো টেস্ট খেলেছে, একটা বাদে হেরেছে সব কটিতেই। হারা টেস্টগুলোর মধ্যে আবার এই আফগানিস্তানদেরটা বাদে প্রতিটায় হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে। ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছিল যথাক্রমে ইনিংস ও ১৩০ রানে এবং ইনিংস ও ৪৬ রানে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এক টেস্টে হেরেছে ইনিংস ও ৪৪ রানে। এই সময়কালে জিম্বাবুয়েকে এক টেস্টে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারানোটাই এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের একমাত্র অর্জন।
২০২০ সালে বেশ অনেকগুলো টেস্ট খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু করোনাভাইরাস সে সুযোগ দেয়নি। এই মহামারির কারণে গত মার্চ মাসের পর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছেন সাকিব-তামিমরা। লকডাউনের পর প্রায় সব দল মাঠে ফিরলেও বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত মাঠে নামেনি। এদিকে সর্বশেষ প্রকাশিত এই টেস্ট র্যাঙ্কিং বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে আনলেও সুসংবাদ পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানকে ইনিংস ব্যবধানে হারানো কিউইরা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছে। র্যাঙ্কিং পদ্ধতি চালু হওয়ার পর এই প্রথম তাঁরা শীর্ষ টেস্ট দল হওয়ার গৌরব অর্জন করল।