আয়ারল্যান্ড উলভসকে শূন্য হাতেই ফেরালেন সাইফরা
আনঅফিশিয়াল টেস্টে জয় মিলেছে ইনিংস ব্যবধানে। পাঁচ ম্যাচের আনঅফিশিয়াল ওয়ানডে সিরিজও জেতা হয়েছে আধিপত্য বজায় রেখে। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত না হলে ৪-০ ব্যবধানের সিরিজ জয়কে হয়তো হোয়াইটওয়াশ লিখতে হতো।
এবার একমাত্র আনঅফিশিয়াল টি-টোয়েন্টি সিরিজেও জয় তুলে নিল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। আজ আয়ারল্যান্ড উলভসকে ৩০ রানে হারিয়েছে সাইফ হাসানের দল। অর্থাৎ জয় ছাড়াই বাংলাদেশ সফর শেষ করল আয়ারল্যান্ড উলভস।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৮৪ রান তুলেছিল ইমার্জিং দল। তাড়া করতে নেমে শুরুতেই পথ হারায় উলভস। ধীরে ধীরে তারা ছিটকে পড়ে ম্যাচ থেকেও।
ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই মাত্র ৭০ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন সুমন খান-আমিনুল ইসলামরা। এই চাপ থেকে বেরোতে পারেনি উলভস।
১৮.১ ওভারে ১৫৪ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। ৩.১ ওভারে ২৮ রানে ৪ উইকেট নেন পেসার সুমন খান। ২টি করে উইকেট বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম ও লেগ স্পিনার আমিনুলের।
ইমার্জিং দলের ইনিংসেও শুরুতে বিপদ ভর করেছিল। ওপেনার আনিসুল ইসলাম কোনো রান না করেই ফিরে যান প্রথম ওভারে। ফর্মে থাকা মাহমুদুল হাসান ৮ রান করে ফেরেন পঞ্চম ওভারে।
অধিনায়ক সাইফ ওপেনিংয়ে ধরে রেখেছিলেন এক প্রান্ত। ইয়াসির আলীর (২২) সঙ্গে ৪০ রানের জুটিতে বিপদ সামলে ওঠেন। ৩৬ বলের ইনিংসে মাত্র ২ রানের জন্য ফিফটি পাননি সাইফ। ১ ছক্কা এবং ৫ চারে ৪৮ রানে আউট হন ইমার্জিং অধিনায়ক।
সাইফ আউট হওয়ার পর ইমার্জিং দলের ইনিংস টেনেছেন পাঁচে নামা তৌহিদ হৃদয়। ১ ছক্কা ও ৭ চারে ৩৫ বলে ৫৮ রান করে শেষ ওভারে আউট হন তৌহিদ। ৪ ছক্কায় শেষ দিকে ১১ বলে ২৮ রানের ইনিংসে ঝড় তুলেছিলেন শামীম হোসেন।
সুমন খান উলভসের ইনিংসে তৃতীয় বলেই তুলে নেন ওপেনার গ্যারেথ ডেলানিকে। উইকেটকিপার লোরকান টাকারের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ২২ বলে ৩৮ রান। ১৬ বলে ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন শেন গেটকাট।
অন্য প্রান্তে ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতে না পারায় বিফলে যায় তাঁর ইনিংস। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ৬২ রান দরকার ছিল উলভসের। হাতে ছিল মাত্র ৪ উইকেট। এ অবস্থায় সঙ্গী পেলে লড়াইটা হয়তো আরও জমিয়ে তুলতে পারতেন গেটকাট।