ইংলিশ তোপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ লুকালো অন্ধকারে

ম্যানচেস্টারে দ্বিতীয় দিনে দুর্দান্ত বল করেছেন জিমি অ্যান্ডারসন। ছবি: টুইটার
ম্যানচেস্টারে দ্বিতীয় দিনে দুর্দান্ত বল করেছেন জিমি অ্যান্ডারসন। ছবি: টুইটার

দিনের খেলা শেষ হতে তখনো প্রায় আধা ঘন্টা সময় বাকি। আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ ঘোষণা করলেন আম্পায়ার। বেজার মুখে মাঠ ছাড়ছিল ইংল্যান্ড দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাঁচল হাঁফ ছেড়ে। পায়ের তলা থেকে ক্রমশ সরে যাওয়া মাটি কাল আবার নতুন উদ্যমে জড়ো করার চেস্টা করা যাবে। ম্যানচেস্টার টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষে এ ছবিটা দেখাই স্বাভাবিক।

প্রথম ইনিংসে ৩৬৯ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। এরপর ব্যাট করতে নেমে গুটিয়ে যাওয়ার হওয়ার পথেই ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের খেলা শেষ ঘোষিত হওয়ার আগে ক্যারিবিয়দের স্কোর ১৩৭ রান। এ পথটুকু আসতেই তারা হারিয়েছে ৬ উইকেট। খেলেছে মাত্র ৪৭.১ ওভার। দিনের পুরো সময় খেলা হলে ক্যারিবীয়দের পায়ের তলায় ক্রিজের মাটি থাকত কি না, সে সন্দেহ পোষণ করাও অস্বাভাবিক কিছু না।

ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থেকে এখনো ২৩২ রানের ব্যবধানে পিছিয়ে সফরকারি দল। কাটেনি ফলো অনও। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান শেন ডওরিচ ও অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের ওপর তাই পাহাড়সমান দায়িত্ব। বিশেষ করে হোল্ডার। দলের স্কোরকে অন্তত সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার মূল দায়িত্বটা যে এখন তাঁর।

চার পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছে ইংল্যান্ড। গতি ও সুইংয়ের মিশেলে নাভিশ্বাস বের হয়েছে সফরকারি ব্যাটসম্যানদের। বিশেষ করে জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড। দুজনেই ১৭ রানে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট জফরা আর্চার ও ক্রিস ওকসের।

ওপেনার জন ক্যাম্পবেল (৩২) ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর কোনো ব্যাটসম্যান ত্রিশের কোটা পার করতে পারেননি। ষষ্ট উইকেটে হোল্ডার-ব্লাকউড ৩৭ রানের জুটি না গড়লে পরিস্তিতি আরও খারাপ হতে পারত। ডরউইচের সঙ্গে তাঁর (২৪) অবিচ্ছিন্ন ২৭ রানের জুটি কাল আরও বড় করার চেস্টা করতে হবে। নইলে শেষ টেস্টে দ্রুতই হারের চোখ রাঙানি দেখতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচের সিরিজ আপাতত ১-১ ব্যবধানে সমতায়।