ইংল্যান্ডকে স্মিথদের হুমকি

ভয়ংকর বেয়ারস্টো আর ধারাবাহিক, আগ্রাসী রুট যেন এই ইংল্যান্ডের প্রতীকছবি: রয়টার্স

ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’তত্ত্ব নিয়ে রীতিমতো হইচই চলছে। টেস্ট দলের কোচ ব্র্যান্ডন ম্যাককালামের এই দর্শন ও অধিনায়ক বেন স্টোকসের আগ্রাসনের মিশেলে টেস্ট ক্রিকেটের সংজ্ঞা পাল্টে দিচ্ছে ইংল্যান্ড। ওয়ানডের মতো করে টেস্ট ক্রিকেটটা খেলতে খেলতে ইংল্যান্ড দলের ক্রিকেটাররা এখন নিজেদের ‘রকস্টার’ভাবা শুরু করেছেন! ভারতের বিপক্ষে এজবাস্টন টেস্টে সেঞ্চুরি করে জো রুট দুই আঙুল তুলে যে ভঙ্গি করলেন, সেটা প্রখ্যাত রকস্টার এলভিস প্রিসলির।

পুরো দলের আবহে এখন ‘অসম্ভব’ শব্দটা নেই। তাদের কাছে এখন সব সম্ভব। নিউজিল্যান্ডের পর ভারত সেটি এজবাস্টনে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। এই ইংলিশ গ্রীষ্মে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আরও তিনটি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। নিজেদের কন্ডিশনে যে প্রতিপক্ষই আসুক, ইংল্যান্ড যে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটটাই খেলে যাবে সেটি পরিষ্কার।

ইংল্যান্ডের এই বৈপ্লবিক পরিবর্তন শ্রীলঙ্কায় বসে দেখছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া। আগামী বছরই ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ খেলবে প্যাট কামিন্সের দল। নতুন এই ইংল্যান্ডের প্রসঙ্গটা তাই প্রত্যাশিতভাবেই সামনে এল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে দলটির অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথকে ইংল্যান্ডের নতুন কৌশলের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়।

স্মিথের কাছে ইংল্যান্ডের এই ব্যাটিংকে বেশ উপভোগ্যই লেগেছে, ‘আমি কিছুটা দেখেছি। ওরা অনেক শট খেলছে। এটা খুব উপভোগ্য। অ্যালেক্স লিসের মতো ক্রিকেটার, যে কিনা উইকেটে থিতু হয়নি, সেও ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলছে।’

তবে ইংল্যান্ডের নবধারার ক্রিকেট কত দিন দীর্ঘস্থায়ী হয়, সেটা নিয়ে স্মিথের মনে প্রশ্ন আছে, ‘অপেক্ষা করছি এটা কত দিন দীর্ঘস্থায়ী হয়, সেটা দেখতে। আপনি যদি এমন উইকেটে খেলেন, যেখানে ঘাস থাকবে, জস হ্যাজলউড, কামিন্স, স্টার্ক বোলিং করবে, তখনো কি ওরা একই রকম ব্যাটিং করবে? তখন খেলাটা কেমন হয় দেখব।’

নতুন ইংল্যান্ডকে একটা হুমকিই দিয়ে রাখলেন স্টিভ স্মিথ
ফাইল ছবি: এএফপি

ইংল্যান্ড দলের রানমেশিন জো রুট এজবাস্টনে সেঞ্চুরি করে টেস্ট সেঞ্চুরির সংখ্যায় স্মিথকে ছাড়িয়ে গেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে স্মিথের সেঞ্চুরি ২৭টি, রুটের ২৮টি। দুজনের মধ্যে রানের লড়াই নিয়ে স্মিথকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, ‘সে খুবই ভালো একজন ক্রিকেটার। আর দেখে মনে হচ্ছে ওকে এই মুহূর্তে আউট করা খুবই কঠিন।’

এ তো গেল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের কথা। এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার মূল লক্ষ্য শ্রীলঙ্কাকে সিরিজের শেষ ম্যাচে হারানো। প্রথম টেস্টে সফরকারীরাও ইংল্যান্ডের মতোই চার-সাড়ে চার রানরেটে ব্যাটিং করে লঙ্কানদের চাপে ফেলেছে। আগামী শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টেও আগ্রাসী অস্ট্রেলিয়াকে দেখা যাবে, এমন আভাসই দিয়েছেন স্মিথ।

স্মিথের বিশ্লেষণ, ‘আমরা প্রথম টেস্টে ভালো গতিতে রান করেছি। আপনি যদি রান না করে বসে থাকেন, তাহলে একটা না একটা সময় আউট হবেন। এটা অনেকটা এমন যে ওরা আমাদের ধরার আগে আমরা ওদের ধরেছি।’