ইংল্যান্ডে কোহলিদের একঘেয়ে জৈব সুরক্ষাবলয়ের সঙ্গী আনুশকারা?
লম্বা সফর। সব মিলিয়ে প্রায় চার মাস ইংল্যান্ডে থাকতে হবে ভারতকে। প্রথমে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বিরাট কোহলিরা মুখোমুখি হবেন নিউজিল্যান্ডের। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবেন পাঁচ টেস্টের সিরিজ। বিদেশ-বিভুঁইয়ে এত লম্বা সময় থাকা এমনিতেই কঠিন। অনেকেই গৃহকাতর হয়ে পড়তে পারেন। তার ওপর করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে খেলা হচ্ছে নতুন স্বাভাবিক নিয়ম মেনে। খেলোয়াড়দের থাকতে হয় জৈব সুরক্ষাবলয়ের মধ্যে।
মোটকথা, চার মাস কোহলিদের জীবনযাত্রাটা হবে এ রকম—টিম হোটেল থেকে অনুশীলন মাঠ। সেখান থেকে আবার হোটেল। অথবা টিম হোটেল থেকে ম্যাচ খেলতে মাঠে। সেখান থেকে আবার হোটেল। বাইরে ঘোরা, আড্ডাবাজি—এসব এখন আর হয় না দলগুলো বিদেশ সফরে গেলে। মোদ্দাকথা, কোনো সফর বা টুর্নামেন্ট খেলতে গেলে খেলোয়াড়দের জীবনটা এখন হয়ে যায় একঘেয়ে। আর এমন একঘেয়ে জীবন খুব অল্পেই হাঁপিয়ে ওঠে!
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলার মধ্যে হাঁপিয়ে উঠলে কোহলিরা ভালো খেলবেন কী করে! এটা মাথায় আছে বলেই হয়তো একটি কথা ভেবে রেখেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ভারতের পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমসের খবর, বিসিসিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোহলিদের একঘেয়েমি কাটাতে ইংল্যান্ড সফরে পরিবার নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেবে। পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে থাকলে জৈব সুরক্ষাবলয়ের মধ্যেও হয়তো একঘেয়েমিটা আর চেপে বসতে পারবে না কোহলিদের ওপর!
তবে ভারতের খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যরা কবে ইংল্যান্ডে যাবেন, তা এখনো পরিষ্কার নয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলবে ১৮ থেকে ২২ জুন। এরপর এক মাসের বিরতির পর শুরু হবে পাঁচ টেস্টের সিরিজ। লম্বা এ সফরের জন্য ভারতের খেলোয়াড়েরা ইংল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবেন আগামী ২ জুন। এর আগে মুম্বাইয়ে ৮ দিনের জন্য কঠোর কোয়ারেন্টিনে থাকবেন কোহলিরা।
কোহলিদের কোয়ারেন্টিন নিয়ে বিসিসিআইয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা গতকাল পিটিআইকে বলেছেন, ‘ভারতীয় দল হোটেলের কক্ষে আবদ্ধ থেকে ৮ দিনের কঠোর কোয়ারেন্টিন করবে। কোয়ারেন্টিনের দ্বিতীয়, চতুর্থ ও সপ্তম দিনে বাধ্যতামূলক আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।’ ভারত থেকে কোয়ারেন্টিন করে যাওয়ার পর ইংল্যান্ডে গিয়ে আবার ১০ দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে কোহলিদের।
তবে বিসিসিআই চাইছে ইংল্যান্ডে কোয়ারেন্টিনের সময়টা কমানো যায় কি না। বিসিসিআইয়ের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা যেহেতু একটি জৈব সুরক্ষাবলয় থেকে আরেকটি জৈব সুরক্ষাবলয়ে যাব, চেষ্টা করছি ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনের সময়টা কিছুটা কমানো যায় কি না। তবে হ্যাঁ, সেখানে কোয়ারেন্টিনের সময় খেলোয়াড়েরা অনুশীলনে যেতে পারবে।’
তবে কোহলিদের পরিবারের সদস্যরা যদি ইংল্যান্ডে কোহলিদের সঙ্গেই যান, তাহলে তো তাঁদেরও একই সঙ্গে মুম্বাইয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এ ব্যাপারে বিসিসিআই এখনো কিছু বলেনি। এ ছাড়া আনুশকা শর্মারা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পর ইংল্যান্ডে গেলেও তাঁদের যেতে হবে কঠোর কোয়ারেন্টিন শেষ করেই। আবার ইংল্যান্ডে গিয়ে কোয়ারেন্টিন শেষ করার পরই খেলোয়াড়দের সঙ্গে থাকতে পারবেন। এসব বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা এখনো জানা যায়নি।