ইংল্যান্ডে জন্মালে এত দিন বেঁচে থাকতেন না, বর্ণবাদ নিয়ে হোল্ডিং

বর্ণবাদ নিয়ে আবারও মুখ খুললেন হোল্ডিংফাইল ছবি

ক্রিকেটে বর্ণবৈষম্য নিয়ে খুবই সোচ্চার মাইকেল হোল্ডিং। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়ে জর্জ ফ্লয়েড নিহত হওয়ার পর সারা দুনিয়ায় তোলপাড়, তখন সাবেক ক্যারিবীয় তারকা বর্ণবৈষম্য নিয়ে ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। যদিও তিনি এ ব্যাপারটিতে নিজের স্পর্শকাতরতা কখনো আড়াল করেননি। খুব শিগগির একটা বই প্রকাশিত হচ্ছে হোল্ডিংয়ের। সেখানে বর্ণবৈষম্যের বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ থাকবে।

১৯৮০ সালে ক্রাইস্টচার্চে হোল্ডিং আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছিলেন স্টাম্পে লাথি মেরে। ছবি: টুইটার

সম্প্রতি আবার বর্ণবিদ্বেষ ডালপালা ছড়িয়েছে। কিছুদিন আগেই ইংলিশ ক্রিকেটারদের একটা পুরোনো টুইট সামনে চলে আসায় বিব্রত হতে হয়েছে তাঁদের। সেখানে ভারতীয়দের নিয়ে রসিকতা করেছিলেন তাঁরা, যাতে বর্ণবিদ্বেষ প্রকাশিত স্পষ্টই। কয়েক বছর আগের সেই টুইটের কারণেই অভিষেক টেস্টে ভালো পারফরম্যান্সের পরেও নিষিদ্ধ হতে হয়েছে ওলি রবিনসনকে। এমন একটা পরিস্থিতিতে হোল্ডিং আবারও এক মুখ খুলেছেন বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে।

বর্ণবাদের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে বই আসছে হোল্ডিংয়ের।
ফাইল ছবি

সম্প্রতি আবার বর্ণবিদ্বেষ ডালপালা ছড়িয়েছে। কিছুদিন আগেই ইংলিশ ক্রিকেটারদের একটা পুরোনো টুইট সামনে চলে আসায় বিব্রত হতে হয়েছে তাঁদের। সেখানে ভারতীয়দের নিয়ে রসিকতা করেছিলেন তাঁরা, যাতে বর্ণবিদ্বেষ প্রকাশিত স্পষ্টই। কয়েক বছর আগের সেই টুইটের কারণেই অভিষেক টেস্টে ভালো পারফরম্যান্সের পরেও নিষিদ্ধ হতে হয়েছে ওলি রবিনসনকে। এমন একটা পরিস্থিতিতে হোল্ডিং আবারও এক মুখ খুলেছেন বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে।

অতীতের এক টুইটে বর্ণবাদের গন্ধ থাকায় নিষিদ্ধ হতে হয়েছে ইংলিশ ক্রিকেটার অলি রবিনসনকে।
ছবি: এএফপি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ফাস্ট বোলার বর্ণবৈষম্য নিয়ে কথা বলেছেন ইংল্যান্ডের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী ক্রিকেটার এবনি রেইনফোর্ড-ব্রেন্টকে নিয়ে। কেবল গায়ের রঙের কারণেই রেইনফোর্ড-ব্রেন্টকে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছিল। শুনতে হয়েছিল অনেক কঠিন কথা। হোল্ডিং বলেছেন, এমন কিছু তাঁর সঙ্গে হলে তিনি সহ্য করতে পারতেন না। মুখ বুজেও মেনে নিতেন না, ‘মনে হয় না আমি এত দিন বেঁচে থাকতাম। ইংল্যান্ডে এবনির সঙ্গে যা হয়েছিল, সেটা আমার সঙ্গে হলে তা সহ্য করার মতো মানুষ আমি ছিলাম না। আমি খুবই আগ্রাসী মনোভাবের ছিলাম। একবার নিউজিল্যান্ড সফরে আমি লাথি মেরে স্টাম্প ভেঙে ফেলেছিলাম।’

জ্যামাইকাতে জন্ম হোল্ডিংয়ের। সেখানে অবশ্য কোনো দিনই বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়নি। কিন্তু দেশের বাইরে গেলে এ জীবনে বহুবার বর্ণবাদী মন্তব্য শুনতে হয়েছে তাঁকে, ‘জ্যামাইকাতে কখনোই বর্ণবাদের শিকার হইনি। কিন্তু জ্যামাইকা থেকে বের হলেই এই বাজে ব্যাপারটি এড়াতে পারিনি। সে জন্য আমি বর্ণবিদ্বেষের শিকার হলেই মনে মনে বলতাম, “তোমার সঙ্গে যা ঘটছে, সেটি তোমার জীবন নয়। তুমি খুব শিগগির বাড়ি ফিরে যাবে।”’

কিন্তু জীবনে এতবার বর্ণবাদের শিকার হয়েও প্রতিবাদে সোচ্চার কেন হননি, সে প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন হোল্ডিং, ‘আমি যদি বর্ণবাদের প্রতিবাদ করতাম, তাহলে আমার ক্রিকেট–জীবন এতটা দীর্ঘ হতো না। আজ টেলিভিশন ধারাভাষ্যের সুযোগই আমি পেতাম না। ইতিহাস বলছে, যাঁরা বর্ণবাদের প্রতিবাদ করেছেন, তাঁদের ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে আস্তাকুঁড়ে।’