ইনজামাম–ইউনিসদের ‘রাহুল দ্রাবিড়’ হতে বললেন আফ্রিদি

সমালোচনা না করে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের নতুন খেলোয়াড় তৈরি করতে বললেন আফ্রিদি।
ফাইল ছবি

ভারত ও পাকিস্তান, প্রতিবেশী দুই দেশ। কিন্তু দেশ দুটির মধ্যে ভাব–ভালোবাসা বলতে কিছু নেই বললেই চলে। সীমান্ত ভাগাভাগি করছে তারা, তবে সেই সীমান্তে শান্তি বিরাজ করে না। সব সময়ই লেগে থাকে ঝামেলা। কখনো কখনো সেই ঝামেলা রূপ নেয় দাঙ্গা-হাঙ্গামায়ও। দুই দেশের সম্পর্ক এমন যে বহুদিন ধরে তারা কোনো দ্বিপক্ষীয় খেলাধুলায়ও অংশ নেয় না!

ভাব-ভালোবাসা না থাকুক, সম্পর্ক বাজে হোক, ‘শত্রু’র ভালোটা নিতে তো আর অসুবিধা নেই! পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি অন্তত সেটাই মনে করেন। তাই তো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সাবেক ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে অনুরোধ করেছেন নিজের দেশের সাবেক ক্রিকেটারদের।

ভারতের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির প্রধান এখন কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান দ্রাবিড়। সেখানে তিনি তৈরি করছেন ভবিষ্যতের শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী, রাহুল দ্রাবিড় আর ভিভিএস লক্ষ্মণদের! এ কাজে দ্রাবিড় অনেকটাই সফল। তাঁর হাত ধরে বেরিয়ে আসে নতুন নতুন প্রতিভা। দ্রাবিড় এর জন্য দেশজুড়ে প্রশংসাও পাচ্ছেন বেশ।

ভারতের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির প্রধান হিসেবে তরুণ ক্রিকেটার তৈরিতে রাহুল দ্রাবিড় রাখছেন বলিষ্ঠ ভূমিকা।
ফাইল ছবি

ভারতের জাতীয় দলের বেঞ্চে এখন অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার। তাঁরা সবাই বলতে গেলে দ্রাবিড়ের আবিষ্কার, তাঁরই হাতের ছোঁয়ায় তৈরি। ভারতের এবারের অস্ট্রেলিয়া সফরের কথাই ধরুন। চোট আর ব্যক্তিগত কারণে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড়ই দলের বাইরে আছেন। এরপরও ভারত যে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সমানে সমান লড়াই করতে পারছে, তা তরুণ ক্রিকেটারদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের কল্যাণেই। এরপর তো পুরো ক্রিকেট বিশ্বেই প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন দ্রাবিড়।

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সম্প্রতি লাহোরে এক অনুষ্ঠানেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সাবেক প্রতিপক্ষ দ্রাবিড়কে। সাবেক সতীর্থদের দ্রাবিড়কে অনুসরণ করে তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার গড়ার কাছে নিজেদের নিয়োজিত করার পরামর্শ দিয়েছেন আফ্রিদি, ‘আমাদের এখন মানসম্পন্ন প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের অভাব আছে। আসলে প্রতিভাবান খেলোয়াড় পেতে আমাদের যেটা করতে হবে, তা হলো সাবেকদের এগিয়ে আসতে হবে। তরুণদের গড়ে তোলার কাজটা নিজেদের কাঁধে নিতে হবে। তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য তাঁদের অনেক কিছু করার আছে।’

সাবেক দুই সতীর্থের মধ্যে আফ্রিদি বিশেষ করে দুজনের নাম বলেছেন—ইনজামাম-উল-হক ও ইউনিস খান। আফ্রিদির বিশ্বাস, তরুণ ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ার এগিয়ে নিয়ে যেতে এ দুজন আরও অনেক কিছু করতে পারেন।

আফ্রিদি কথা বলেছেন হঠাৎ করেই মোহাম্মদ আমিরের অবসর নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে। মিসবাহ-উল-হক ও ওয়াকার ইউনিসের অধীনে আর ক্রিকেট খেলতে চান না বলে জাতীয় দলকে বিদায় বলে দিয়েছেন পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার। বিষয়টি নিয়ে আফ্রিদি বলেছেন, ‘আমার খেলোয়াড়ি জীবনেও কোচদের সঙ্গে বোলারদের ঝামেলা হতো। আমার সঙ্গে ওয়াকারের ঝামেলার বিষয়টি তো সবাই জানে। আমি মনে করি, এই সমস্যার সমাধানের উপায় একটাই—সমস্যায় পড়া খেলোয়াড়দের সঙ্গে খোলামেলাভাবে কথা বলতে হবে বোর্ডের।’