ইমরানের 'পাত্তা না দেওয়া' ব্যাপারটাই পছন্দ তাঁর

কাউকে পাত্তা না দিয়ে চলার একটা ব্যাপার ছিল ইমরান খানের।
কাউকে পাত্তা না দিয়ে চলার একটা ব্যাপার ছিল ইমরান খানের।

কিরন মোরেকে মনে আছে? ওই যে '৯২ বিশ্বকাপে সিডনি ক্রিকেট মাঠে যে ভারতীয় ক্রিকেটারের সামনে 'বানর–লাফ' লাফিয়েছিলেন পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ। আশি ও নব্বইয়ের দশকে ভারতের এই দুর্দান্ত উইকেটরক্ষক অবশ্য মিয়াঁদাদের সেই লম্ফঝম্পের স্মৃতিটা উপভোগই করেন। মাঠের বাইরে সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা যে সব সময়ই দারুণ, সেটা তিনি বলতে ভোলেননি। মোরে শ্রদ্ধা করেন আরেক সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক ইমরান খানকেও। পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ক্রিকেট–খেলোয়াড় সত্তাটাকে অসম্ভব ভালোবাসেন মোরে। অবাক হন তাঁর মেধা ও প্রজ্ঞায়। ইমরানের কাউকে পাত্তা না দিয়ে চলার কেতাটাও দারুণ লাগত তাঁর।

সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে মোরে ইমরান সম্পর্কে ওপরের কথাগুলোই বলেছেন, 'তিনি কাউকে পাত্তা দিতেন না। নিজের মতো করে চলতেন। সব সময় ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসতেন। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা তিনি ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতে পারতেন। তিনি সব সময়ই পাকিস্তানের জন্য কিছু না কিছু করতে চেয়েছেন। অবিশ্বাস্য, দুর্দান্ত তাঁর গল্পগুলো। আমি সময়ই তাঁকে শ্রদ্ধা করি।'

সিডনিতে ১৯৯২ বিশ্বকাপে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে সেই মিয়াঁদাদের সেই কাণ্ড মনে হলেই মজা পান মোরে। সে ম্যাচে ভারতীয় উইকেটরক্ষক কিরন মোরে কথার ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের বিরক্ত করার চেষ্টা করছিলেন। আম্পায়ারের কাছে আউটের আবেদনগুলোতেও ছিল পাকিস্তানের চাপে ফেলার চেষ্টা। মিয়াঁদাদ সেটিই পছন্দ করেননি। এক কথা, দুই কথার মধ্যে মোরের সামনে লাফাতে থাকেন তিনি। ক্রিকেটের দুর্দান্ত এক স্মৃতিই হয়ে আছে মিয়াঁদাদের সেই বানর–লাফের দৃশ্যটি।

মোরের কাছে অবশ্য ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত কিছু নয়, 'দেখুন ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে অনেক কিছুই হয়। মাঠে স্লেজিং করে এতকে অন্যকে ঘায়েল করার চেষ্টা থাকে। মাঠের বাইরে এসব ভুলে যাই। মিয়াঁদাদের সঙ্গে আমার মাঠের বাইরের সম্পর্ক দারুণ। উনি দুর্দান্ত কিংবদন্তিতূল্য এক ক্রিকেটার।'

মোরের অবশ্য এ ব্যাপারে একটা দুঃখ আছে, 'আমার সঙ্গে সবাই মিয়াঁদাদের ওই ঘটনাটা নিয়েই কথা বলে। কেউ টেস্ট ম্যাচে আমার রেকর্ড ৬ স্টাম্পিংয়ের কথা তোলেন না।'

১৯৮৮–৮৯ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাদ্রাজ টেস্টে ৬ ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানকে স্টাম্পিং করেছিলেন এই উইকেটরক্ষক। এটা আজও টেস্টে রেকর্ড।