এ সময়ের কোন বোলারকে খেলতে চাইতেন টেন্ডুলকার

জীবনের শেষ টেস্টে ব্যাট হাতে টেন্ডুলকার।ছবি: বিসিসিআই

কী হতো যদি শচীন টেন্ডুলকার এ যুগে জন্মাতেন? কী হতো যদি বিরাট কোহলি খেলতেন আশি-নব্বইয়ের দশকে?

বাস্তবতার নিরিখে এসব চিন্তার দাম নেই কোনো। তাই বলে মানুষের কল্পনার পরিধিকে তো আটকে রাখা যায় না। মানুষের কল্পনা লাগামছাড়া। আর এই লাগামছাড়া কল্পনাতেই মানুষ নিজেদের পছন্দের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, ভেবে নেয় খামখেয়ালি হাজারো ঘটনা।

অবসর নেওয়া টেন্ডুলকার বা লারার পক্ষে যেমন সম্ভব নয় এখনকার তারকা বোলারদের মুখোমুখি হওয়ার, একইভাবে কোহলি বা স্মিথদের পক্ষেও সম্ভব নয় ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে নিজেদের আরও আগের যুগে নিয়ে যাওয়া।

কিন্তু তাতে কল্পনা থেমে থাকবে কেন? খেয়ালি মনের কল্পনার মানুষও ভেবে নেয়—ইশ্‌, যদি টেন্ডুলকার এ যুগের জফরা আর্চার বা কাগিসো রাবাদার বিপক্ষে খেলতেন। ইশ্‌, যদি কোহলিকে সহ্য করতে হতো ওয়াসিম বা ম্যাকগ্রার তোপ!

রশিদ খানের বোলিং মনে ধরেছে টেন্ডুলকারের।
ছবি: বিসিসিআই

চিন্তাটা যে টেন্ডুলকারের মাথায়ও আসেনি, তা নয়। তাই তিনিও এমন আলোচনায় যোগ দিয়েছেন সানন্দে। জানিয়েছেন সুযোগ পেলে এখনকার কোন বোলারের বিপক্ষে খেলতে চাইতেন।

টেন্ডুলকারের জবাবে পেস বোলিংয়ের ভক্তদের একটু নিরাশ হতেই হবে। কারণ, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জফরা আর্চার কিংবা ট্রেন্ট বোল্টদের মতো পেসার নন, শচীন তাঁর ‘ফ্যান্টাসি প্রতিপক্ষ’ হিসেবে বেছে নিয়েছেন একজন স্পিনারকে। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।

‘আমাকে যদি বলা হয় যে এখনকার কোন বোলারের বিপক্ষে তুমি খেলতে চাও, আমি রশিদ খানের নাম বলব। ওর বোলিং নিয়ে সবাই সুনাম করেছে। আমিও ওর বোলিং দেখে বেশ আনন্দ পাই’—টেন্ডুলকারের উত্তর।

কিন্তু এত বোলার বাদ দিয়ে রশিদই কেন? এর জবাবও দিয়েছেন শচীন, ‘আমার মনে হয় ওর সঙ্গে লড়তে পারলে বেশ ভালোই লাগত। কারণ, ও বল করার আগে ব্যাটসম্যানকে ধন্দে ফেলে দেয়। লেগ স্পিন, টপ স্পিন বা গুগলি—ও অনেক ধরনের বল করতে পারে।’

ক্রিকেট মাঠে থাকার সময়ে এক লেগ স্পিনারের বিপক্ষে তাঁর লড়াই কিংবদন্তিতুল্য ছিল। অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিন কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের সঙ্গে সেই লড়াইও কি লেগ স্পিন আর রশিদ খানের বিপক্ষে টেন্ডুলকারের লড়তে চাওয়ার আরেকটা কারণ হতে পারে? কে জানে!