এই উইন্ডিজকে নিয়েও সতর্ক বাংলাদেশ

হাবিবুল বাশার

আঙুলের চোট থেকে সেরে উঠতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে মুমিনুল হকের। এটি নিয়েই হয়তো চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এসেছিলেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক। মুমিনুলকে কাল অবশ্য চোট নিয়ে নয়, বাংলাদেশ সফরের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল নিয়ে মুঠোফোনে অনেকের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো।

ওয়ানডে ও টেস্ট—দুই সংস্করণের দুই অধিনায়ক ও সহ–অধিনায়কদের রেখে বাংলাদেশ আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। করোনাসংক্রান্ত উদ্বেগ দেখিয়ে জেসন হোল্ডার, কাইরন পোলার্ড, রোস্টন চেজ নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সফর থেকে।

সব জায়গায়ই বাংলাদেশের চেয়ে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে এলে কোভিডের সমস্যা হয়, এ যুক্তি বুঝে ওঠা কঠিন
হাবিবুল বাশার, নির্বাচক

এই সফরে আসছেন না শাই হোপ, নিকোলাস পুরান, এভিন লুইস, শিমরন হেটমায়ারদের মতো আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানরাও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে তারকা ক্রিকেটারদের বেশির ভাগের অনুপস্থিতি নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে একটু ঘুরিয়েই উত্তর দিলেন মুমিনুল, ‘সবাই আশা করে যে নিয়মিত দলটাই আসবে। শুধু আমি নই, সবাই এটাই আশা করেছিল।’

সৌম্য সরকার

নির্বাচক হাবিবুল বাশার একটু হতাশই হয়েছেন বাংলাদেশ সফরের ক্যারিবীয় দল দেখে, ‘একটু দুঃখ লাগল। করোনার কারণে যদি না আসে, তাহলে কিছু বলতে পারবেন না। কিন্তু তারা সব জায়গায় খেলছে। অন্যান্য জায়গার তুলনায় বাংলাদেশ ভালো কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা করেছে। দুটি টুর্নামেন্ট হয়েছে সফলভাবে। সব জায়গায়ই তো বাংলাদেশের চেয়ে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে এলে কোভিডের সমস্যা হয়, এ যুক্তি বুঝে ওঠা কঠিন।’

গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যে দল আসছে, সেটিকে দ্বিতীয় সারির দলই বলা যায়। মুমিনুলের চোখে অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয় সারির দল বলে কিছু নেই। তিনি মনে করেন, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো পয়েন্ট অর্জন ও বিশ্বকাপ সুপার লিগে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির সিরিজ দুটি খেলতে নামবে বাংলাদেশ, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছোট-বড় চিন্তা করে খেলা যায় না। দল দেখে যদি ভাবেন জিতে যাবেন, ঠিক নয়। মূল ক্রিকেটাররা নেই, তার মানে এই নয় যে দল ওদের হালকাভাবে নেবে। দেশে খেললে আমাদের প্রত্যাশা থাকে, আমরা ভালো করব। আর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা অবশ্যই জয়ের জন্যই খেলব। শুধু এই দল দেখে নয়, ওদের মূল দল এলেও আমাদের মানসিকতা একই থাকত।’

ওদের অনেক খেলোয়াড় আসছে না, আমাদের খেলতে হবে তাদের বড় ব্যবধানে হারানোর মানসিকতায়
সৌম্য সরকার

মোস্তাফিজুর রহমান অবশ্য প্রতিপক্ষের দলের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না। শুধু জানালেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনো দলকে হালকাভাবে নিতে রাজি নন তিনি। তবে সৌম্য সরকার মুমিনুলের কথারই পুনরাবৃত্তি করেছেন, ‘আমরা অনেক দিন আন্তর্জাতিক সিরিজে নেই। আর আন্তর্জাতিক সিরিজ সব সময়ই কঠিন। তবে আমরা যেহেতু হোমে খেলব, ঘরের মাঠে চেনা পরিবেশে খেলার একটা সুবিধা তো থাকবেই। ওদের অনেক খেলোয়াড় আসছে না, সে ক্ষেত্রে আমাদের খেলতে হবে তাদেরকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেওয়ার মানসিকতায়।’