এই তাসকিনকে দেখে মুগ্ধ বাংলাদেশ কোচ

প্রস্তুতি ম্যাচে বোলিং করছেন তাসকিন।ছবি: প্রথম আলো

আন্তর্জতিক ক্রিকেট থেকে প্রায় সাত মাস দূরে বাংলাদেশ দল। শিগগির ফেরার সম্ভাবনাও নেই। এই মুহূর্তে সিরিজ-টুর্নামেন্ট খেলা না হলেও নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। গত তিন মাসে খেলোয়াড়দের অনুশীলন নিয়ে খুশি বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তবে তাঁর মুগ্ধতা বেশি তাসকিন আহমেদকে নিয়ে।

মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে জুলাই, করোনার প্রকোপে চার মাসের বেশি সময় ক্রিকেটাররা ছিলেন ঘরবন্দী। জুলাই থেকে বেশিরভাগ ক্রিকেটার ফিরেছেন অনুশীলনে। লম্বা বিরতিতেও খেলোয়াড়দের মরচে ধরেনি সেটিই আজ বিকেলে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন ডমিঙ্গো, 'খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত অনুশীলন আয়োজনে সাব্বির খান (বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সিনিয়র ব্যবস্থাপক) অসাধারণ কাজ করেছে। খেলোয়াড়েরা গত তিন-চার মাসে ভীষণ ব্যস্ত ছিল। আমরা এখানে এসেছি মাসখানেক হলো। তারা যেভাবে কাজ করেছে বেশ গর্ব হচ্ছে। তাদের শারীরিক অবস্থা অনেক ভালো। নেটে অনেককে দেখে মনে হলো খুব ভালো অবস্থায় আছে। বোলাররা নিজেদের ফিট রেখেছে। তাসকিনকে তো অবিশ্বাস্য লাগছে! এটা দুর্দান্ত ব্যাপার!'

বোলারদের প্রস্তুতি নিয়ে বাংলাদেশ কোচ বিস্তারিত বললেন। সেটি বলতে গিয়েও তাসকিনকে নিয়ে আলাদা প্রশংসা করলেন ডমিঙ্গো, ‘আমরা খুব ভালো একটা ফাস্ট বোলিং আক্রমণ তৈরি করছি। আমাদের আছে ইবাদত (ইবাদত হোসেন), রাহি (আবু জায়েদ), তাসকিন, মোস্তাফিজুর (রহমান) ও আল আমিন। ৬-৭ জনের একটা দারুণ গ্রুপ তৈরি করার চেষ্টা করছি যারা সব সংস্করণ খেলতে পারবে। দেশে ভালো করছে, আগামী কয়েক বছরে বিদেশেও ভালো করবে। তাসকিন সত্যি অনেক পরিশ্রম করছে। এটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ভীষণ ফিট হয়ে ফিরেছে সে।’

পেসারদের নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন কোচ।
ছবি: প্রথম আলো

চোট ও ফর্মের  কারণে গত দুই বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে তাসকিন। আন্তর্জাতিক আঙিনায় আবারও দ্যুতি ছড়াতে ভীষণ পরিশ্রম করছেন এই ২৫ বছর বয়সী পেসার। লকডাউনে মোহাম্মদপুরের এক নিরিবিলি জায়গা বেছে করেছেন ফিটনেসের কাজ। আর মিরপুরে গত দুই মাসে চলছে বোলিং অনুশীলন।

তাসকিন তো আছেনই, বাকি পেসারদের নিয়ে কোচের মূল্যায়ন হচ্ছে, ‘নতুন বলে মোস্তাফিজ বেশ ছন্দে ফিরছে। তার মধ্যে বেশ ভালো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। রাহিকে (আবু জায়েদ করোনাক্রান্ত ছিলেন দুই সপ্তাহ) দেখা হয়নি। ইবাদতকে কদিন বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়েছে। খালেদ মুগ্ধ করেছে। আমার মনে হয় হাসান মাহমুদেরও ভালো ভবিষ্যৎ আছে।’    

ছন্দে ফিরেছেন মোস্তাফিজ।
ছবি: প্রথম আলো

যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, প্রত্যেকে যদি দেশের বাইরে ভালো করতে পারেন, ডমিঙ্গো মনে করেন এটি দল হিসেবে দুর্দান্ত হয়ে উঠতে তাঁদের অনেক সহায়তা করবে, ‘যদি আমাদের ফাস্ট বোলিং আক্রমণ দেশের বাইরে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখতে পারে, তাহলে আমরা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল হয়ে উঠতে পারব। এই মুহূর্তে আমাদের বোলাররা সে পথেই এগোচ্ছে।’