এমন ম্যাচ এই প্রথম দেখলেন ডমিঙ্গো

বাংলাদেশ দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।ফাইল ছবি: সংগৃহীত

ম্যাচের ফল ছাপিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কত রান করতে হতো বাংলাদেশকে?

নেপিয়ারে আজ টি–টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতেও এই প্রশ্নেরই জবাব খুঁজেছেন সবাই। নিউজিল্যান্ডের কাছে ২৮ রানে হারের পর এ নিয়ে ক্ষোভ লুকোতে পারেননি বাংলাদেশ দলের দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। বাংলাদেশ কোচের সোজা কথা, ‘লক্ষ্য চূড়ান্ত না হওয়ার আগে খেলা (বাংলাদেশের ইনিংস) শুরু করা উচিত হয়নি।’

বৃষ্টিবিঘ্নিত এ ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। এমন সময় আবারও বৃষ্টি হানা দেওয়ার পর নিজেদের ইনিংস শেষ করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ডাকওয়ার্থ–লুইস (ডি/এল) পদ্ধতিতে শুরুতে লক্ষ্য জানানো ১৬ ওভারে ১৪৮ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।

লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের ৯ বল পর জানতে পারেন, আগের লক্ষ্যটা ভুল ছিল। হিসাবে ভুল করেছেন ম্যাচ কর্মকর্তারা। ১৬ ওভারে ১৭১ রান লক্ষ্য বাংলাদেশের—হিসাব ঠিক করে জানানো হয় মাহমুদউল্লাহদের।

ডমিঙ্গো চটেছেন এ নিয়েই। কত রান করতে হবে—ডি/এল নিয়মে এই হিসাব কষে লক্ষ্যটা বের করার পর তার একটি কাগজ দেওয়া হয় দলকে। তাতে পরিষ্কারভাবেই লেখা থাকে জিততে হলে কত রান করতে হবে। বাংলাদেশ দল সেই কাগজটাই পায়নি।

ম্যাচ কর্মকর্তারা দুবারই লক্ষ্যটা জানিয়েছেন মৌখিকভাবে। আর তাই ম্যাচের কয়েক ওভার পেরিয়ে যাওয়ার পরও ব্যাটসম্যানরা ঠিকভাবে জানতেন না, কত রান লাগবে।

সংবাদ সম্মেলনে একটু হেসে ডমিঙ্গো ক্ষোভ ঝাড়লেন, ‘পাঁচ ওভারে কত লাগবে, তা কেউ জানত না। ছয় ওভারে কত...তা–ও জানত না। এমন ম্যাচ এই প্রথম দেখলাম। এর আগে কখনো এমন অভিজ্ঞতা হয়নি যে ব্যাটিং শুরুর পর জানা গেল কত রান লাগবে। লক্ষ্য চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত খেলা শুরু করা উচিত হয়নি।’

কোচ বলছিলেন, খেলোয়াড়েরা নাকি ডি/এল নিয়মে নির্ধারিত লক্ষ্যের প্রিন্ট করা কপি পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন, ‘সাধারণত এক বা দুই বলের (প্রিন্ট কপি) মধ্যেই সেটা চলে আসে। কিন্তু তাঁরা প্রিন্ট কপি পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। এর মধ্যে খেলা শুরু হয়ে গেল। এটাই হতাশার।’

অবশ্য হারের দায়টা আবার এই অব্যবস্থাপনার ওপর দেননি ডমিঙ্গো, ‘কোনো অজুহাত নয়, তবে বিষয়টি হতাশার।’ ম্যাচ হারলেও বাংলাদেশ শুরুটা ভালো করেছিল বলে মনে করেন কোচ। অন্তত আগের ম্যাচের চেয়ে শুরুটা ভালো হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

তবে বৃষ্টি, অফিশিয়ালদের ভুল এবং সিরিজ হার মিলিয়ে বাংলাদেশ কোচের কণ্ঠে একটি কথাই কয়েকবার ঝরল, ‘হতাশার, এটা খুব হতাশার।’