এশিয়া কাপ কি হবে, জানা যেতে পারে আজ

২০১৮ এশিয়া কাপের মতো এবারও টুর্নামেন্টটি হতে পারে আমিরাতে। ফাইল ছবি
২০১৮ এশিয়া কাপের মতো এবারও টুর্নামেন্টটি হতে পারে আমিরাতে। ফাইল ছবি

করোনার ধাক্কা সামলে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সময় মতো হবে কিনা, এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও সে তুলনায় এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা কমই হয়েছে গত চার মাসে।

২০২০ এশিয়া কাপ আয়োজক (হোস্ট রাইট) এবার পাকিস্তান। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানিয়েছিল, নিজেদের দেশেই তারা আয়োজন করতে চায় এশিয়া কাপ। এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে। ভারত পাকিস্তানে যেতে রাজি হবে না, ভারতের ম্যাচগুলো তাই অন্য কোথাও হবে, এমন গুঞ্জনও উঠেছে তখন। এই প্রেক্ষাপটে বিকল্প আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের নামও এসেছে। এশিয়া কাপের ম্যাচ পেতেই জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হয়েছে, এমন কথাও শুনতে হয়েছে বিসিবিকে।

সব আলোচনা পাশ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত পিসিবি এশিয়া কাপ আয়োজন করতে চেয়েছে আরব আমিরাতে। ২০১৮ এশিয়া কাপও হয়েছিল মরুর দেশে, যেটির আয়োজক ছিল ভারত। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এশিয়া কাপ আয়োজন সম্ভব হবে কিনা, সেটি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এবার প্রশ্নবোধক চিহ্নটা বসিয়েছে আসলে করোনাভাইরাস।
এশিয়া কাপের ভাগ্যে কী আছে, সেটি নিয়ে আজ বিকেলে আলোচনায় বসছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। এ সভায় হয়তো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে টুর্নামেন্টটা নিয়ে। যেহেতু এশিয়া কাপ হবে আরব আমিরাতে, সেখানকার করোনা পরিস্থিতি উপমহাদেশের তুলনায় বেশ ভালো। ৬ জুন পর্যন্ত আমিরাতে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৮৮০৮ জন। মারা গেছেন ২৭৬ জন। ইতিবাচক দিক হচ্ছে, জুনের শুরুতে আরব আমিরাতে করোনা সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। এটিও আশাবাদী করে তুলছে টুর্নামেন্ট আয়োজকদের।

আজ বিকেলে হতে যাওয়া এসিসির সভায় অংশ নিচ্ছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। প্রথম আলোকে তিনি বললেন, 'কোভিড–১৯ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার আগে পাকিস্তান ঠিক করে টুর্নামেন্টটা দুবাইয়ে করবে। ওটা ওভাবেই আছে। এ ব্যাপারে আর কিছু এগোয়নি। আমরা এটা নিয়ে (আজ সভায়) আলোচনা করব। আমাদের তুলনায় দুবাইয়ের করোনাপরিস্থিতি ভালো। দেখা যাক কী হয়!'