‘ওদের থেকে গত ৩-৪ বছরে আমরা পিছিয়ে নেই’

মেহেদী হাসান মিরাজফাইল ছবি: প্রথম আলো

শ্রীলঙ্কার মাটিতে বাংলাদেশ সর্বশেষ সফর করেছিল ২০১৮ সালে, নিদাহাস ট্রফি খেলতে। যেখানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। অল্পের জন্য ভারতকে ফাইনালে হারিয়ে নিদাহাস ট্রফির শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এর আগের বছরের স্মৃতি আরও মধুর ছিল। বাংলাদেশ ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে জিতেছে শততম টেস্ট। টেস্ট সিরিজের সঙ্গে ড্র করেছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজও। ২০১৩ সালেও টেস্ট ড্র করার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের।

এবারের শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দলের স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে নিকট অতীতের রেকর্ডই সাহস দিচ্ছে। আজ কাতুনায়েকে স্টেডিয়ামে টেস্ট দলের অনুশীলন শেষে মিরাজ বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘আমরা এর আগে শ্রীলঙ্কাতে যতবারই খেলেছি, ভালো ক্রিকেট খেলেছি। নিদাহাস ট্রফিতে অল্পের জন্য জিততে পারিনি, তারপর শ্রীলঙ্কা সিরিজে যখন ওয়ানডে সিরিজ খেলেছি, ওরা একটা জিতেছে, আমরা একটা জিতেছি, টেস্টেও ১-১ ছিল। ওদের থেকে গত ৩-৪ বছরে আমরা কিন্তু পিছিয়ে নেই।’

সাদা বলের ক্রিকেটের সাফল্য অনেক থাকলেও ২০১৭ সালে শততম টেস্ট জয়ই শ্রীলঙ্কার মাটিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন। সেই ঐতিহাসিক জয়ের স্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে মিরাজ বলছিলেন, ‘শততম টেস্ট জয় খুবই ভালো লাগার স্মৃতি। কারণ, শ্রীলঙ্কার মাটিতে আমরা প্রথম টেস্ট ম্যাচ জিতেছিলাম, ওই মুহূর্ত অবশ্যই ভালো লেগেছিল। আর দলের সবাই নিবেদিত ছিল ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য। যেভাবেই হোক ম্যাচটা জিততে হবে এই পণ ছিল। সবাই বলছিল কিছু একটা করতে হবে, নিজেদের সর্বোচ্চটা দিতে হবে। খেলার সময়ও প্রত্যেকের মধ্যেই ওই ম্যাচ জেতার শরীরী ভাষা ছিল। ভালো সময়, খারাপ সময়, সবই গেছে পাঁচ দিন। শেষ পর্যন্ত আমরা যখন জিতে যাই, তখন খুব আনন্দ লেগেছিল।’

শ্রীলঙ্কায় গত কয়েকটি সফরে ভালো কিছু স্মৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ।
ফাইল ছবি

পাঁচ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেলা মিরাজ এখন আরও পরিণত। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ব্যাটে–বলে তিনিই ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক পারফর্মার। এবারের শ্রীলঙ্কা সিরিজেও মিরাজের কাছে বড় প্রত্যাশা থাকবে দলের। সাকিব আল হাসান না থাকায় স্পিন বোলিং অলরাউন্ডারের দায়িত্বটা মিরাজকেই নিতে হবে। সঙ্গে থাকবেন তাইজুল ইসলাম। এবার দলের সঙ্গে স্পিন বোলিং পরামর্শক হিসেবে দুজনই পাচ্ছেন প্রিয় কোচ সোহেল ইসলামকে।

কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে কীভাবে স্বাগতিকদের স্পিন দিয়ে পরাস্ত করা যায়, প্রিয় কোচের সঙ্গে সেই পরিকল্পনাই করছেন মিরাজরা। মিরাজের কথায়, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে লাইন ও লেংথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানে উইকেটটা খুব ভালো থাকে। এখানে প্রথম কয়েক দিন কিছু না থাকলেও ৩-৪ দিনে ম্যাচ যাবে, তখন কিন্তু উইকেটে সাহায্য থাকে। ওই সুবিধাটা আমরা স্পিনাররা নিতে পারি।’