ওভারে ছয় ছক্কার মালিক এখন থিসারা পেরেরাও

১৩ বলে অপরাজিত ৫২ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস খেলার পথে এক ওভারে ৬ ছক্কা মেরেছেন পেরেরা।টুইটার

এক মাসের মধ্যে দু-দুবার ৬ বলে ৬ ছক্কা দেখল ক্রিকেট, এটা তো বিরল ঘটনাই। এই তো মাসের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে আকিলা ধনঞ্জয়ার এক ওভারে ৬ ছক্কা মেরেছিলেন কাইরন পোলার্ড। মাস শেষ না হতেই আরও একবার ছয় ছক্কার ঘটনা ঘটল স্বীকৃত ক্রিকেটে। এবার সেই শ্রীলঙ্কারই ব্যাটসম্যান থিসারা পেরেরা এই কীর্তি গড়লেন ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে।

শ্রীলঙ্কার লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ব্লুমফিল্ড ক্রিকেট অ্যান্ড অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিপক্ষে ১৩ বলে অপরাজিত ৫২ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস খেলার পথে এক ওভারে ৬ ছক্কা মেরেছেন আর্মি স্পোর্টস ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক পেরেরা। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ব্যাটসম্যান প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ছয় ছক্কার কীর্তি গড়লেন।

একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ডও এখন পেরেরার নামের পাশে। ২০০৫ সালের নভেম্বরে কুরুঙ্গালা ইয়ুথ ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ১২ বলে ফিফটি করেছিলেন রাগানা ক্রিকেট ক্লাবের কৌশলিয়া ভিরারত্নে। এখনো শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড সেটিই। ওই ম্যাচে ১৮ বলে ৬৬ রানের ইনিংসে ভিরারত্নে চার মেরেছিলেন ২টি, ছক্কা ৮টি। এর মধ্যে এক ওভারে মেরেছিলেন ৫ ছক্কা।

পেরেরার ছয় ছক্কা
টুইটার


পানাগোদা মাঠে গতকাল আগে ব্যাট করে ৪১ ওভারে ৩১৮ রান তুলেছিল আর্মি স্পোর্টস ক্রিকেট ক্লাব। অধিনায়ক পেরেরা যখন ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন, ইনিংসের ২০ বল বাকি, দলের রান ২৫৬। সেটা যে একলাফে ৩০০ পেরিয়ে যাবে, তখনো আঁচ করা যায়নি। পেরেরা তাণ্ডব চালিয়েছেন আসলে ব্লুমফিল্ড ক্রিকেট অ্যান্ড অ্যাথলেটিক ক্লাবের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও খণ্ডকালীন অফ স্পিনার দিলহান কুরির ওপর। তাঁর করা শেষ ওভারেই সবগুলো বল উড়িয়ে পাঠিয়েছেন সীমানার বাইরে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটা অবশ্য পরিত্যক্ত হয়ে গেছে ব্লুমফিল্ড ক্রিকেট অ্যান্ড অ্যাথলেটিক ক্লাব ৬ উইকেট ৭৩ রান তোলার পর।


প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে এ নিয়ে ৯ জন ক্রিকেটার এক ওভারে ছয় ছক্কা মারার কীর্তি গড়লেন। পেরেরা, পোলার্ডের আগে এক ওভারে ছয় ছক্কা মেরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি স্যার গ্যারি সোবার্স, ভারতের রবি শাস্ত্রী, দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস, ভারতের যুবরাজ সিং, ইংল্যান্ডের রস হোয়াইটলি, আফগানিস্তানের হজরতউল্লাহ জাজাই ও নিউজিল্যান্ডের লিও কার্টার। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কীর্তিটা শুধু তিনজনের। টি-টোয়েন্টিতে যুবরাজ সিং ও কাইরন পোলার্ড, ওয়ানডেতে হার্শেল গিবসের।