ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘ডাবল’ জিততে চান স্টোকস

ওয়ানডের মতো টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপটাও হাতে তুলতে চায় ইংল্যান্ড।ছবি: রয়টার্স

ওয়ানডেতে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটাও নিজেদের শো কেসে দেখতে চান বেন স্টোকস। ইংলিশ অলরাউন্ডার আশাবাদী পরের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা তাঁদের হাতেই উঠবে। সাদা বলের ক্রিকেটের অবিসংবাদিত শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিই আদায় করে নিতে চান স্টোকস। এখনো একই সঙ্গে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মালিক হতে পারেনি কোনো দল।  

মাত্রই দক্ষিণ আফ্রিকায় টি–টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিকদের ধবলধোলাই করেছে ইংল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর এখন ওয়ানডে সিরিজে খেলবে দুদল। ইংল্যান্ডের এই দলটা নিয়ে ভীষণ উচ্চাশা স্টোকসের, ‘আমরা যেহেতু একসঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলছি, তাই এই দলটা সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে আমার। এই দলটা কোথায় যেতে পারে, সেটা সম্পর্কে ভাবলেই ভয়ংকর অনুভূতি হয়! আমরা জানি আমরা যদি আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি তাহলে বিশ্বের বেশির ভাগ দলকেই আমরা হারিয়ে দিতে পারি। এটা অহংকার করে বলা কোনো কথা নয়। আমরা জানি এই দলটা কতখানি শক্তিশালী এবং সত্যি এই দলের অংশ হতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত।’

আমরা যদি না ভাবি ওটা (টি–টোয়েন্বিটি শ্বকাপ জয়) সম্ভব, তাহলে আর খেলে কী লাভ।
বেন স্টোকস

একসঙ্গে খেলতে খেলতে ইংল্যান্ড দল আরও অনেক পরিণত হচ্ছে। এই দলটার সীমানা হতে পারে আকাশ, এমনটাই মনে করেন স্টোকস, ‘আমরা যখন একসঙ্গে খেলি তখন এই দলটা হয়ে ওঠে ভয়ংকর। এই দলটা ভালো খেললে কোথায় যেতে পারে, সেটা সত্যি অবাক করার মতো একটা বিষয়। আমরা হয়তো গত বছর একসঙ্গে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারিনি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে এই সিরিজটা অনেক ভালো হয়েছে। এখানে বেশ কিছু ছেলে খুব অল্প সময়ে নিজেদের মেলে ধরতে পেরেছে। আমাদের সীমানা এখন আকাশ।’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলেই দেশে ফিরে গেছেন বেন স্টোকস।
ছবি: রয়টার্স

আগামী বছর ভারতে বসবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরের আসর। ইংল্যান্ড কি চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে, এমন প্রশ্নের জবাবে স্টোকস বললেন সেই স্বপ্নই দেখেন তাঁরা, ‘আমরা যদি না ভাবি ওটা (অর্জন) সম্ভব, তাহলে আর খেলে কী লাভ।’

শুধু টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নয় স্টোকসের মনে রয়েছে অ্যাশেজ জেতার আকাঙ্ক্ষা। তাই তো এখন থেকেই স্টোকস দূরের বাতিঘর দেখতে পাচ্ছেন, ‘আমার অত দূরে ভাবার মতো মানসিকতা নেই। বা এসব নিয়ে মাথাব্যথাও নেই, আমি শুধু বিষয়টা এভাবেই নিয়েছি যে খেলতে হবে। আমি মনে করি তিন সংস্করণেই ভালো খেলার এই ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখতে হবে আমাদের।’ আগামী বছরের নভেম্বরে শুরু হবে পরের অ্যাশেজ।

ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতানোয় অবদান রেখে গত বছর বিবিসির বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের পুরস্কার জেতেন স্টোকস। লর্ডস আর হেডিংলিতে স্টোকস খেলেন ক্ল্যাসিক ইনিংস। এবারও কিন্তু ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুমের সেই মর্যাদাটা ধরে রাখার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা হতে পারে স্টুয়ার্ট ব্রডকে দিয়ে। যেহেতু এ বছর টেস্টে ৫০০ উইকেট পেয়েছেন ব্রড, তাই এবার কি পুরস্কারটা তিনি জিতবেন?

স্টোকস অবশ্য ব্রডকেই ভোট দিতে চান, ‘ সে অবশ্যই আমার ভোট পাবে। আমাদের খেলাধুলায় এটা অনেক বড় ঘটনা যে আবারও ক্রিকেটে কেউ মনোনীতদের তালিকায় থাকছে। স্টুয়ার্ট ব্রড বল হাতে ইংল্যান্ডের হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে তার পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে। কিন্তু গত কয়েক বছর ও আসলে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে।’