ওয়ার্নারদের চেয়ে দ্রুত রান তোলেন তামিমেরা

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তামিম-লিটন।প্রথম আলো ফাইল ছবি

আধুনিক ওয়ানডে ক্রিকেটটা খেলছিল না বাংলাদেশ। ওপেনার তামিম ইকবালের সতর্ক শুরু মন্থর করে দিচ্ছিল বাংলাদেশের পাওয়ারপ্লের ব্যাটিং। অথচ ইংল্যান্ড, ভারত ও অস্ট্রেলীয় ওপেনাররা রান তুলতেন আগ্রাসী মেজাজে। দ্রুত কিছু রান তুলে প্রতিপক্ষের বোলারদের চাপে ফেলতে পারলেই হলো। মাঝের ওভারে স্পিনারদের নিয়ন্ত্রণ করে থিতু হয়ে শেষ দশ ওভারে ব্যাটিং করাই থাকে এখনকার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের লক্ষ্য। টিকে থাকলে শেষের দিকে ব্যাটসম্যানরা দানবীয় আকার ধারণ করে।

সে জন্য দরকার ওপেনারদের আদর্শ সূচনা। সেটা আবার আগ্রাসী মেজাজে হলে ভালো। বাংলাদেশ এই জায়গায় অনেকটা পিছিয়ে থেকে গত বিশ্বকাপে গিয়েছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের ঠিক আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ থেকেই শুরু হয় বাংলাদেশের রান বন্যা। তামিম-সৌম্যে শুরু হয়। এরপর তামিম-লিটনের জুটিতে ধারাবাহিকভাবে দ্রুত রান পেতে থাকে বাংলাদেশ।

ভালো পারফরম্যান্সের কারণে পরিসংখ্যানও উজ্জ্বল হয়ে উঠছে বাংলাদেশের। ২০১৮ সাল থেকে দ্রুত রান তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশ ভালো অবস্থানে আছে। গত দুই বছরের আগ্রাসী ওপেনিং জুটির তালিকায় তিনে ও চারে আছে তামিম-লিটন ও তামিম-সৌম্য জুটি। গত কয়েক বছরে ওপেনিংয়ে বাংলাদেশ সেরা পারফরম্যান্স এসেছে ২০২০ সালের শুরুতে হয়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সিরিজের শেষ ম্যাচে যেমন ২৯২ রানের অবিশ্বাস্য জুটি গড়েছেন তামিম-লিটন। দুজনই করেন বিশাল সেঞ্চুরি এবং সেটা অল্প বল খরচ করেই। সাধারণত দ্রুত রান করার দায়িত্বটা লিটনের। তামিম ধীরে শুরু করে চেষ্টা করতেন পরে পুষিয়ে দেওয়ার। জিম্বাবুয়ে সিরিজে সেটি করতে হয়নি। দুজনই রান করেছেন সমান তালে। তবে দ্রুত রান তোলার ক্ষেত্রে তামিম-লিটন এখনো ওভার প্রতি ছয় রান তুলতে পারছেন না। যে কাজটায় দুর্দান্ত ইংল্যান্ডের ওপেনাররা।

ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও জেসন রয় দলকে ভালো শুরু এনে দেন প্রায়ই। সেটাও করে দুর্দান্ত গতিতে। ওভার প্রতি ৬.৯৪ রান তোলেন এ দুজন। দারুণ স্ট্রাইক রেট দুজনেরই। এ তালিকার দুইয়ে থাকা নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মারটিন গাপটিল ও কলিন মানরোও এ কাজে দারুণ। এ বছর আর ওপেন না করলেও গত বছর গাপটিলকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন মানরো। ওভার প্রতি ৬.৪২ রান তুলেছেন এই দুই ওপেনারের। এর পরেই আছেন তামিম-লিটনরা। এরপরই আবার তামিম। সৌম্যের সঙ্গে তাঁর জুটিটাও যে ওভার প্রতি বেশ ভালোই রান তোলে (৫.৬৯)। তামিম-সৌম্যের গা ঘেঁষে আছে অস্ট্রেলীয়রা। অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নারের জুটির রান রেট ৫.৬৮।

২০১৮ সাল থেকে দ্রুত রান করা ওপেনিং জুটি (কমপক্ষে ১০ ইনিংস, আজ পর্যন্ত)

  • জনি বেয়ারস্টো ও জেসন রয় ৬.৯৪

  • মারটিন গাপটিল ও কলিম মানরো ৬.৪২

  • লিটন দাস ও তামিম ইকবাল ৫.৯৩

  • তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার ৫.৬৯

  • অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার ৫.৬৮