‘ওয়ার্নারের ছয় বছর বয়সী মেয়ের রক্ষণও স্টোকস–বেয়ারস্টোদের চেয়ে ভালো’

ইংলিশ ক্রিকেটারদের রক্ষণ নিয়ে চলছে কৌতূককর সমালোচনাছবি : এএফপি

মাত্র ১২ দিনের মাথায় ঘরের মাঠে অ্যাশেজের নিষ্পত্তি করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ টেস্টের সিরিজে এর মধ্যে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে বিখ্যাত সেই ছাইদানির অধিকার নিজেদের কাছেই রেখেছে। ব্রিসবেন থেকে শুরু করে অ্যাডিলেড, পরে মেলবোর্ন—প্রতিটি টেস্টে নাস্তানাবুদ হয়েছে ইংলিশরা। হারের চেয়ে বেশি নজর কেড়েছে ইংল্যান্ডের হারের ধরন। এক অধিনায়ক জো রুট বাদে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা নিশ্চিত করে দিয়েছে সিরিজের ভবিতব্য।

ফলে যা হওয়ার, সেটিই হচ্ছে। ইংলিশ মিডিয়ায় সমালোচনার ছুরিতে কচুকাটা করা হচ্ছে হাসিব হামিদ, ডেভিড মালান, বেন স্টোকস, জনি বেয়ারস্টোদের। এর মধ্যে ডেইলি টেলিগ্রাফের প্রধান ক্রীড়ালেখক অলিভার ব্রাউন যা লিখেছেন, তা দেখে ক্ষোভে-দুঃখে স্টোকসরা যদি অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে বিবাগি হয়ে পালিয়ে যেতে চান, খুব বেশি দোষ দেওয়া যাবে না!

চাঁচাছোলা ভাষায় নিজ দেশের ব্যাটসম্যানদের সমালোচনা করেছেন এই লেখক। তাঁর মতে, ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা রক্ষণাত্মক খেলার যে কৌশল দেখিয়েছে সবাইকে, তার চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের ছয় বছর বয়সী মেয়ের রক্ষণাত্মক কৌশলও ঢের ভালো!

ওয়ার্নারের ৬ বছর বয়সী মেয়ের ব্যাটিং–রক্ষণও ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের চেয়ে ভালো!
ফাইল ছবি

ব্রাউনের মনে হয়েছে, ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের অবস্থা দেখে খোদ অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা চমকে গেছেন, ‘মেলবোর্নে যারা খেলা দেখতে এসেছিল, তাদের জন্য আপনার কষ্টই লাগবে। তারা ভেবেছিল, দিনের ৯০ ওভার ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করবে। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি তারা অস্ট্রেলিয়ার বোলিং-তোপে উড়ে গেছে। এমনকি আমার তো মনে হচ্ছে যে দ্রুতগতিতে ইংল্যান্ডের শেষ উইকেটগুলো পড়েছে, তাতে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররাও চমকে গেছে।’

বেন স্টোকসরা অ্যাশেজে পুরোপুরি ব্যর্থ
ছবি: এএফপি

এরপরই সেই ‘বোমা’টা ফাটান ব্রাউন, ‘ডেভিড ওয়ার্নার হয়তো ভেবেছিল তাকে আবারও ব্যাট করতে নামতে হবে। বেশ ভালো একটা রান তাড়া করতে হবে। কিন্তু সে উল্টো বিকেলটা কাটাল রোদ পোহাতে পোহাতে, মাঠের মধ্যে তিন মেয়েকে শেখাচ্ছিল কীভাবে ব্যাট করতে হয়। ওর বড় মেয়ের নাম আইভি মে, যার বয়স মাত্র ছয়। ওর রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ের কৌশলও ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডারের বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যানের চেয়ে ভালো!’

গোটা অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডারে খেলেছেন বেন স্টোকস, জনি বেয়ারস্টো, ওলি পোপ, জস বাটলারদের মতো ব্যাটসম্যান। ব্রাউনের তোপ যে তাঁদের দিকেই, সেটা বুঝতে আইনস্টাইন হওয়া লাগে না!