কম রানের আক্ষেপে পুড়লেন কোহলি

বেঙ্গালুরুর ফিল্ডিংয়ের সময় সূর্যকুমারের সঙ্গে কড়া দৃষ্টি বিনিময় হয়েছে বিরাট কোহলিরছবি: টুইটার

হারের পর শেষ ৫ ওভারে কম রান তোলার আক্ষেপ করলেন বিরাট কোহলি। ১৫তম ওভার শেষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১২৯। উইকেটে তখন ‘সেট’ দেবদূত পাড়িক্কাল ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। নামার অপেক্ষায় শিভম দুবে ও ক্রিস মরিসরা।

কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে শেষ ৫ ওভারে বেঙ্গালুরু তুলতে পেরেছে মাত্র ৩৫ রান। ম্যাচ শেষে তাই ন্যূনতম ‘২০ রান কম’ করার আক্ষেপ ঝরেছে বেঙ্গালুরু অধিনায়ক কোহলির কণ্ঠে।

মুম্বাইয়ের জয়ে দারুণ খেলেছেন সূর্যকুমার যাদব
ছবি: টুইটার

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আগেই জানিয়েছিল, চোটের কারণে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলবেন না মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাঁর অনুপস্থিতিতেও বেঙ্গালুরুর ৬ উইকেটে ১৬৪ রানের পুঁজি তাড়া করা তেমন কঠিন হতো না মুম্বাইয়ের জন্য।

ম্যাচেও তাই দেখা গেল, সূর্যকুমার যাদব প্রায় একাই সহজ হয় এনে দেন মুম্বাইকে। ৩ ছক্কা ও ১০ চারে ৪৩ বলে তাঁর ৭৯ রানের ইনিংসে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় মুম্বাই। এ জয়ে ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে আসার পাশাপাশি প্লে অফেও এক পা দিয়ে রাখলেন মুম্বাইয়ের ক্রিকেটাররা।

মুম্বাইয়ের দুই ওপেনারের জুটি ভেঙেছে ষষ্ঠ ওভারে। ৩৭ রান তোলেন কুইন্টন ডি কক ও ঈশান কিষান। তিনে নামা সূর্যকুমার এক প্রান্ত আগলে রাখলেও ১০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৭০ রান তুলেছিল মুম্বাই। রানের চাকা খুব দ্রুত না ঘুরলেও জয়ের পথেই ছিল দলটি। শেষ ৬০ বলে দরকার ছিল ৯৫ রান।

পরের ৫ ওভারে মুম্বাই আরও ২ উইকেট হারালেও লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যেই ছিল—৩০ বলে দরকার ৪৮ রান। এখান থেকে ৫ বল হাতে রেখে মুম্বাই ম্যাচটি জিতেছে সূর্যকুমারের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে। শেষ ওভারে ৩ রানের লক্ষ্যে প্রথম বলেই চার মেরে ম্যাচ শেষ করেন মুম্বাইয়ের এ ব্যাটসম্যান।

এর আগে বেঙ্গালুরুর ইনিংস টেনেছেন দেবদূত পাড়িক্কাল। ১ ছক্কা ও ১২ চারে ৪৫ বলে ৭২ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন বেঙ্গালুরু ওপেনার। ২৪ বলে ৩৩ রান করেন আরেক ওপেনার জশ ফিলিপ। এ দুজন ছাড়া বেঙ্গালুরুর হয়ে আর কেউ সেভাবে উইকেটে দাঁড়াতে পারেননি। ৯ রান করে আউট হন কোহলি। মুম্বাইয়ের হয়ে ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন যশপ্রীত বুমরা।