করোনা বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে ইংল্যান্ডকে

ওয়ানডে সিরিজ আর শুর হতেই পারল না।ছবি: রয়টার্স

টি-টোয়েন্টি সিরিজটা ভালোয় ভালোয় শেষ হয়েছিল। দাপটের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছিল সফরকারীরা। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজ শুরু হতেই ঝামেলা শুরু। তিনবার চেষ্টা করেও ওয়ানডে সিরিজ শুরু করা যায়নি। করোনার সংক্রমণ হওয়ার খবরে প্রথমে একবার সিরিজের প্রথম ওয়ানডে পিছিয়ে দেওয়া হয়। চার দিনে বারবার নতুন করে সূচি দেওয়া হয়েছে কিন্তু প্রতিবারই সংক্রমণের খবরে আবার পেছানো হয়েছে খেলা।

সূচি অনুযায়ী কাল সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভাইরাস সেটাও পিছিয়ে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত সিরিজটা বাতিলই করে দেওয়া হয়েছে আপাতত।

ভবিষ্যতে দুই দলের সূচি মিলিয়ে সুযোগ পেলে আবার আয়োজন করা হবে সিরিজটি। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের অংশ বলে বাতিল না করে আপাতত সিরিজ পেছানোর কথাই বলা হচ্ছে। যদিও ইংল্যান্ডের ব্যস্ত সূচি বলছে, এ সিরিজের জন্য নতুন করে ফাঁকা সময় বের করা খুব কঠিন হবে। এখন ইংল্যান্ডের দিকে উড়াল দেওয়া নিয়েই ভাবছেন এউইন মরগানরা।

বারবার প্রথম ওয়ানডে পেছানোর পরও সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ আয়োজনের আশা করছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার পরিকল্পনা ছিল ইংল্যান্ডের। আগের সূচিতে সিরিজের শেষ ওয়ানডে হওয়ার কথা ছিল ৯ ডিসেম্বর। তাই আজ ও আগামীকাল দুটি ম্যাচ খেলানোর ইচ্ছার কথা জানিয়েছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু গতকালই ‘দুই দলের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ভালোর কথা চিন্তা করে’ সিরিজ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দুই বোর্ড মিলেই সিরিজ পেছানোর ঘোষণা দিয়েছে। তবে ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, ইংল্যান্ড বোর্ডই সিরিজ পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে গতকাল নতুন এক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। ইংলিশ খেলোয়াড়েরা অনুশীলনের জন্য কোয়ারেন্টিন নিয়ম ভেঙেছেন, এমন অভিযোগ উঠেছিল। এমন অভিযোগের অবশ্য কড়া জবাব দিয়েছে ইংল্যান্ড। অনুশীলনের জন্য বাজে ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে, এ অভিযোগ তুলে নির্ধারিত স্থান থেকে একটু দূরে অনুশীলন করতে বাধ্য হয়েছে তারা, এটাও জানানো হয়েছে ইংলিশদের পক্ষ থেকে।

শুধু প্রথম ওয়ানডে নয়, সিরিজই পেছাতে হয়েছে।
ছবি: রয়টার্স

দেশে ফিরে পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ড। এরপর বাংলাদেশ, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করবে দলটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ভারতেও যাবে। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে কবে এই ওয়ানডে সিরিজ আয়োজন সম্ভব হবে, সেটা নিশ্চিত করতে পারছেন না কেউ। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে অবশ্য আশা প্রকাশ করা হয়েছে, ‘খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে দুই বোর্ড এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিএসএ এবং ইসিবি এখন কবে আইসিসির সুপার লিগের অংশ এই তিন ম্যাচের সিরিজ আয়োজন করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করবে।’