করোনার মধ্যেও আইপিএলের পক্ষে সাকিবদের অধিনায়ক

ম্যাচ শেষে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এউইন মরগান।ছবি: আইপিএল

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে তিন লাখের বেশি মানুষ। মারা যাচ্ছেন দুই–আড়াই হাজার করে। করোনার ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে এরই মধ্যে আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দুই বিদেশি ক্রিকেটার কেন রিচার্ডসন ও অ্যাডাম জাম্পা। দেশে ফিরে গেছেন আরেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু টাই। ভারতীয় অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও পরিবারকে সময় দেওয়ার কথা বলে সরে গেছেন আইপিএল থেকে

ক্রিকেটাররা তো আইপিএল থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেনই, এ ছাড়া অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—দেশের মানুষ যখন জীবন বাঁচানোর জন্য লড়ছে, তখন আইপিএল চলবে কেন? তবে ইংল্যান্ড ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক এউইন মরগান আবার আইপিএলের পক্ষে। তাঁর মতে, করোনার সময়ে ফুটবলের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও বুন্দেসলিগা অনুষ্ঠিত হতে পারলে আইপিএলও চলতে পারে। বরং তাঁর দলের খেলোয়াড়েরা করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। নিজেরাও সুস্থ আছেন বলে ভাগ্যবান ভাবছেন মরগান।

কাল রাতে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে কলকাতা। ছয় ম্যাচ খেলে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মরগান। তাঁরা পাঁচ তারকা হোটেলে জৈব সুরক্ষাবলয়ে অবস্থান করলেও বাইরের জগৎ থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন নন। ম্যাচ–পরবর্তী অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে চলমান করোনার ভয়াবহতা প্রসঙ্গে মরগান বলেন, ‘আমাদের জৈবসুরক্ষা বলয়ের বাইরে যা কিছু হচ্ছে, তা নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত আলাপ করছি। দূর থেকে দেখে তা ভালো লাগছে না। জৈব সুরক্ষাবলয়ে থাকতে পেরে নিজেদের ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। যার জন্য আমরা আক্রান্ত হচ্ছি না।’ করোনার সময়ে যারা কঠিন সময় পার করছেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি।

ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়ছেন মরগান।
ছবি: আইপিএল

জার্মানিতে বর্তমানে লকডাউন চলছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে দেশটির ফুটবল লিগ চলছে। করোনায় জর্জরিত ইংল্যান্ডেও চলছে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়েও এই দেশ দুটি আগে খেলা শুরু করেছিল। সুতরাং লকডাউনের সময়ে ভারতেও আইপিএল চললে সমস্যা দেখছেন না মরগান, ‘গত বছর আমরা যখন প্রথম লকডাউন শেষ করেছিলাম। এরপর টিভিতে প্রথম নিউজিল্যান্ডে বা অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত রাগবি লিগ দেখেছি। ধীরে ধীরে বুন্দেসলিগা ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু হলো। সেটি প্রমাণ করেছে দেশ পুরো লকডাউনের মধ্যে থাকলেও খেলা অনুষ্ঠিত হতে পারে। এটি যতক্ষণ না পর্যন্ত জনসাধারণের চোখে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’