কোনো রকমে ১০০ পার হলেন তামিমরা

দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ একাদশের রুবেল হোসেনছবি: শামসুল হক

তামিম ইকবাল বলেছিলেন, খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েই নাকি তাঁরা শুরু করতে যাচ্ছেন বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ। কিন্তু সেই ভালো প্রস্তুতি নিয়েও ব্যাটিংটা ভালো হলো না তামিমের দলের। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ মাহমুদউল্লাহ একাদশের বিপক্ষে তামিম একাদশ ২৩.১ ওভারে অলআউট হয়েছে মাত্র ১০৩ রান করে।    

  টস হেরে আগে ব্যাটিং করা তামিম একাদশ শুরুতেই ধাক্কা খায় অধিনায়ক তামিমকে হারিয়ে। রুবেল হোসেনের ভেতরে ঢোকা বলে তামিম এলবিডব্লু হয়েছেন ২ রান করে, ওপেনিং জুটি ভেঙেছে ৪ রানে। বৃষ্টিবাধায় ৩ ওভারের পর ম্যাচ বন্ধ থেকেছে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা। সাড়ে ৩টায় আবার শুরু হওয়া ম্যাচ নেমে আসে ৪৭ ওভারে। বৃষ্টির পর মাহমুদউল্লাহ একাদশের বোলাররা হয়ে ওঠেন আরও ভয়ংকর! বিশেষ করে রুবেল হোসেন।

রুবেলের তোপে তামিম একাদশের ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। আরেক প্রান্ত থেকে চাপটা আরও বাড়িয়েছেন তরুণ পেসার সুমন খান। মাহমুদউল্লাহ একাদশের এই দুই পেসার মিলেই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তামিমদের টপ আর মিডল অর্ডার। ৬৮ রানে তামিম একাদশের যে ৬ উইকেট পড়েছে সেগুলো সমান ভাগ করে নিয়েছেন রুবেল আর সুমন। তবে রুবেলকে খেলাটাই বেশি কঠিন ছিল তামিম একাদশের জন্য। রুবেল ৫ ওভারে ১৬ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। সুমন সমান ওভারে ৩১ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। পেসাররা ভালো বল করায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ স্পিনার এনেছেন ১৬তম ওভারে

মাত্র ২ রান করেছেন তামিম ইকবাল।
ছবি: প্রথম আলো

পেসারদের দেখানো পথে হেঁটেছেন মাহমুদউল্লাহ একাদশের স্পিনাররাও। দুদিন আগে বাবা হওয়ার সুখবরে মেহেদী হাসান মিরাজ যেন আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে ফিরেছেন। তাঁকে খেলতেই পারছিলেন না তামিম একাদশের লেজের ব্যাটসম্যানরা। ৪.১ ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে মিরাজ তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। আরেক প্রান্তে ৩ ওভার বোলিং করে ১৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে মিরাজকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম। মাহমুদউল্লাহ একাদশের অসাধারণ বোলিংয়ে তামিমদের ১০০ করাই কঠিন হয়ে পড়ছিল। ওপেনার তানজিদের ব্যাটে এসেছে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান, এতেই তাঁদের ব্যাটিংয়ের করুণ চিত্রটা স্পষ্ট।

৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার সুমন খানও।
ছবি: প্রথম আলো

তামিম একাদশ বোলিংয়ে অতিমানবীয় কিছু না করে ফেললে এই ম্যাচের ভাগ্য যেন পড়ে ফেলা যাচ্ছিল ইনিংস বিরতিতেই! অবশ্য মাহমুদউল্লাহ একাদশও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হারিয়েছে ওপেনার নাঈম শেখকে। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লু হয়ে যখন তিনি ফিরে যান, তখনো কোনো রান যোগ হয়নি দলের স্কোরবোর্ডে।