কোহলির পিচ্ছিল হাত, রাহুলের বিধ্বংসী ব্যাটিং

লোকেশ রাহুলের ক্যাচ নিতে ব্যর্থ বিরাট কোহলিছবি: বিসিসিআই

একবার মিড উইকেট বাউন্ডারিতে। একবার মিড অনে। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ক্যাচ দুই জায়গায় ফেলেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সেই রাহুল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১৩২ রানে। আইপিএলে যে কোনো ভারতীয় ব্যাটসম্যানের এটাই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। বেঙ্গালুরু শেষ পর্যন্ত রাহুলের রানও ছাড়াতে পারেনি। অলআউট হয়েছে ১০৯ রানে। কোহলির দল ম্যাচটি হেরেছে ৯৭ রানে।


রাহুলের শুরুটা অবশ্য এত বিধ্বংসী ছিল না। ইনিংসের শুরুতে খেলেছেন ১২০ স্ট্রাইক রেটে। কোহলির হাতে একমাত্র যুজবেন্দ্র চাহার ছাড়া ভয় পাওয়ার মতো বোলার নেই, রাহুলেরও জানা ছিল। উইকেটে একবার জমে গেলে যে কোনো কিছুই সম্ভব। আর বেঙ্গালুরুর ডেথ ওভারের বোলিং সব সময়ই নড়বড়ে।
তবে ডেথ ওভার পর্যন্ত রাহুলের টিকে থাকারও কথা নয়। ডেল স্টেইনকে ১৭তম ওভারে ফ্লিক করে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ যায় কোহলির কাছে। বলটা তালুবন্দি করা হয়নি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ডারের। ৫৫ বলে ৮৩ রান তখন রাহুলের।

সেঞ্চুরির পর লোকেশ রাহুল
ছবি: বিসিসিআই

পরের ওভারে আবার ক্যাচ হাতছাড়া! এবার নানদ্বীপ সাইনির বলে। লং অফের উপর দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় বল যায় আকাশে। এবারও বলের নিচে ছিলেন কোহলি। একবার ভুল করেছেন, এবার তো করার কথা নয়! কিন্তু এবারও বল বেরিয়ে গেল কোহলির পিচ্ছিল হাত গলে। ৫৯ বল খেলা রাহুল তখন ৮৯ রানে।
এরপর যা হলো সে জন্য হয়তো কোহলি কাউকে দোষ দিতে পারবেন না। ৮৯ রান থেকে শেষ দুই ওভারে রাহুল পৌঁছে যান ১৩২ রানে। শেষ চার ওভারে পাঞ্জাব নিয়েছে ৭৪ রান! যেখানে ১৮০ অসম্ভব মনে হচ্ছিল, সেখানে চোখের পলকে পাঞ্জাবের রান ২০৬!

তবু ভয় থেকে যায়। অ্যারন ফিঞ্চ, কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স আছেন যে দলে, সে দল যেকোনো রান তাড়া করতে পারে। কিন্তু শেলডন কটরেল ও মোহাম্মদ শামির নতুন বলের এক স্পেল ও মাঝের ওভারে দুই লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণু ও মুরুগান অশ্বিন মিলে যেন ধস নামালেন বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং লাইন আপে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়েছে বেঙ্গালুরুর। শেষ পর্যন্ত ১৭ ওভারে মাত্র ১০৯ রানে অলআউট কোহলির দল। পাঞ্জাব টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ জিততে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ালো ৯৭ রানের বিশাল জয়ে।
ম্যাচ শেষে পাঞ্জাবের অধিনায়ক রাহুল বলছিলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হয়। সেটা করতে পেরে খুবই খুশি। আমি ম্যাক্সিকে বলছিলাম আমি আজ খুব ভালো নিয়ন্ত্রণে নেই। আমার কথা শুনে সে হেসেছে। বলছিল, তুমি আজ দারুণ খেলছ।’