কোহলির ‘ভাগ্য’ খুলে দিতে চান কৌল

কৌল।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে বদলে দিচ্ছেন বিরাট কোহলি। মাঠে তাঁর আগ্রাসী নেতৃত্ব দলের আচরণেও প্রভাব ফেলছে। তাই নিজ দেশ বা প্রতিপক্ষের মাঠ—সবখানেই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে ভারত। টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি—সব ফরম্যাটেই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা ভারতকে এখন সমীহ করে সব দল।

কোহলির অধিনায়কত্বে যদি কোনো ঘাটতি থাকে, সেটা শিরোপা–খরা। এখন পর্যন্ত কোহলির অধীনে কোনো বৈশ্বিক শিরোপা জেতেনি ভারত। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফেবারিটের তকমা নিয়েও ফিরেছে খালি হাতে। কোহলি অধিনায়ক হওয়ার পর বহুজাতিক টুর্নামেন্টে একবারই সাফল্য পেয়েছে ভারত। কিন্তু ২০১৮ এশিয়া কাপে অধিনায়কত্ব করেছেন রোহিত শর্মা।

কোহলির এমন ভাগ্য বদলাতে চান সিদ্ধার্ত কৌল। এই পেসারের ধারণা, তাঁকে দলে নিয়েই বিশ্বকাপ জিততে পারেন কোহলি!

ভারত দলে ডাক পেতে অনেক দেরি হয়েছে কৌলের। ২৭ বছরে ডাক পেয়েও খুব বেশি দিন থিতু হতে পারেননি। তিন ওয়ানডে আর তিন টি-টোয়েন্টি—ব্যস, এটুকুতেই আটকে আছে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। ভারত দলে সর্বশেষ তাঁকে দেখা গেছে ২০১৯ সালে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারত দলে কৌল ডাক পেতে পারেন, এমন সম্ভাবনার কথা কখনো শোনা যায়নি। তবে করোনাকাল তাঁকে একটা সুযোগ করে দিয়েছে।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইংল্যান্ডে থাকবে ভারত দল। কিন্তু জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার বাধ্যবাধকতা আছে ভারতের। দুই দেশে কোয়ারেন্টিন পর্ব সামলে কোহলিদের পক্ষে আবার শ্রীলঙ্কায় যাওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে আরেকটি দলকে শ্রীলঙ্কা পাঠানো হচ্ছে। সে ভারত দলে ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কৌলের। এবার আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে সুযোগ পাওয়া এই পেসার তিন ম্যাচে ৩ উইকেট পেয়েছেন।

ভারতের অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর কিছু জেতেননি কোহলি।
ফাইল ছবি: এএফপি

কৌল অবশ্য আরেকটি যুক্তি টেনে এনেছেন তাঁকে দলে নেওয়ার। কোহলির এখন পর্যন্ত অধিনায়ক হিসেবে সেরা অর্জন ২০০৮ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়। সে দলে ছিলেন কৌল। কৌলও বলছেন, কোহলির ভাগ্য ফেরাতে তিনিই হতে পারেন ‘লাকি চার্ম’, ‘ভারত দলে যতটুকু খেলেছি, তাতেই খুশি আমি। কিন্তু আগামী কিছুদিনে ভারতকে একটা বিশ্বকাপ জেতানোর স্বপ্ন দেখি। যেভাবে খেলায় উন্নতি করছি, সেটা ধরে রাখতে পারলে, অবশ্য ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জিততে চাই। এটা আমার স্বপ্ন। যেভাবে আমি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলাম, আমি ভারতকে সেভাবে মূল বিশ্বকাপও জেতাতে চাই। বিরাট কোহলি যেহেতু অধিনায়ক এবারও, আমি তার “লাকি চার্ম” হতে পারি।’

হাস্যকর শোনালেও লাকি চার্মের ব্যাপারটা ভেবে দেখতেও পারে ভারত। কারণ, ২০১১ বিশ্বকাপে খুব ভালো ফর্মে না থাকার পরও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বদলে ফাইনালে খেলানো হয়েছিল শান্তকুমারন শ্রীশান্তকে। এর পেছনে শ্রীশান্ত দলের জন্য ‘লাকি চার্ম’—এমন কথা শোনা গিয়েছিল।