কোহলিরা বললেন, ‘আসুন সবাই টিকা নিয়ে নিই’

কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ডোজ গতকাল নিয়েছেন কোহলিরাছবি: রয়টার্স

এ মুহূর্তে করোনার ঊর্ধ্বমুখী হার ঠেকাতে টিকার নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এটা মানছে পৃথিবীর প্রায় সব দেশ। অনেক দেশেই শুরু হয়েছে টিকাদান কার্যক্রম। ভারতে এটি শুরু হয়েছে বছরের শুরুর দিকে। আকাশপথে ভ্রমণের আগে টিকা নেওয়া এখন এক আবশ্যিক বিষয়। এ নিয়মের বাইরে কেউই নন। এমনকি ক্রিকেটাররাও নন।

ভারতীয় ক্রিকেটারদের ইংল্যান্ড যেতে হলে অবশ্যই টিকা নিয়ে রাখতে হবে। কয়েক দিন আগেই জানা গিয়েছিল, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা দ্রুতই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’ নামের টিকাটি নেবেন। সেই টিকার প্রথম ডোজই গতকাল নিয়েছেন কোহলিরা।

টিকা নিচ্ছেন কোহলি
ছবি : টুইটার

বিরাট কোহলি ছাড়াও এই টিকা নিয়েছেন টেস্ট দলের দুই অবিচ্ছেদ্য অংশ, পেস বোলার ইশান্ত শর্মা ও ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পূজারা। আইপিএল হুট করে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন মুম্বাইতেই আছেন বিরাট কোহলি। সেখানকারই এক টিকাদানকেন্দ্রে টিকা নিয়েছেন তিনি, প্রমাণস্বরূপ ইনস্টাগ্রামে একটা ছবিও পোস্ট করেছেন। নিজেদের টিকাদানকেন্দ্রের সামনে সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন ইশান্ত শর্মা ও তাঁর স্ত্রী সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় প্রতিমা শর্মা।

টিকা দেওয়ার ব্যবস্থাপনা দেখে মুগ্ধ ইশান্ত টুইটারে লিখেছেন, ‘টিকার জন্য ধন্যবাদ জানাই সংশ্লিষ্ট সব কর্মীকে। দেখে ভালো লাগল, দুর্দান্ত ব্যবস্থাপনায় চলছে সবকিছু। সবাই তাড়াতাড়ি টিকা নিয়ে নিই, আসুন!’ ইশান্তের মতো পূজারাও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ‘ভ্যাকসিনেটেড’ হয়ে এসেছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘পূজা ও আমি আজ আমাদের প্রথম ডোজের টিকা নিলাম। সবাইকে অনুরোধ করছি, আপনি যদি টিকা নেওয়ার যোগ্য হন, তাড়াতাড়ি টিকা নিয়ে আসুন।’ টিকা নেওয়ার জন্য বয়স অন্তত ১৮ হতে হবে, সেদিকেই নির্দেশ করেছেন পূজারা।

এর আগে টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে, ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও পেস বোলার উমেশ যাদবও টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দুই ডোজে করোনার টিকা নিতে হয়।

পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত ব্যবহার হওয়া প্রায় প্রতিটি করোনা টিকার ক্ষেত্রেই এ নিয়ম। প্রথম ডোজের টিকা নিয়েই ইংল্যান্ড সফরে বেরিয়ে পড়বেন কোহলিরা, আগামী ১২ জুন। ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে যখন দ্বিতীয় ডোজের সময় হবে, তখন তাঁরা ইংল্যান্ডের মাটিতে। খেলোয়াড়েরা সবাই যেন দ্বিতীয় ডোজের টিকা সহজে পেয়ে যান, তাই তাঁদের যুক্তরাজ্যের টিকাই দেওয়া হচ্ছে। ইংল্যান্ডে সহজেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কেনা যাবে—ভাবনাটা এমনই।