ক্রাইস্টচার্চ থেকে অকল্যান্ড—কিউইরাও হারাতে পারে অস্ট্রেলিয়াকে

আগামীকাল ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে নিউজিল্যান্ডছবি: এএফপি

দুবাইয়ে আগামীকাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। যে দলই জিতুক, হবে নতুন ইতিহাস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে এখনো শিরোপার দেখা পায়নি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কোনোটিই। আগামীকালের ফাইনাল দেখতে বসার আগে চোখ বুলিয়ে আসা যাক দুই তাসমানিয়ান প্রতিবেশীর জিবে জল আনা তিনটি ক্রিকেট লড়াই।

পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া
ছবি: এএফপি

কিউইদের প্রথম
ক্রাইস্টচার্চ, ১৯৭৪
দুই তাসমানিয়ান প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট মাঠে প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৪৬ সালে। সেই সময়ে ক্রিকেট–বিশ্বে রাজত্ব করছিল অস্ট্রেলিয়া। তাসমান সাগরের অপর পাশের দল নিউজিল্যান্ডকে তারা পাত্তাই দিত না। ক্রিকেট মাঠে দুই প্রতিবেশীর লড়াইয়ের এ রূপ বদলাতে শুরু করে সত্তরের দশক থেকে। বিশেষ করে ১৯৭৪ সাল থেকে। সে বছর নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান গ্লেন টার্নার দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন। কিউইরা ম্যাচটি জেতে ৫ উইকেটে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেটিই কিউইদের প্রথম টেস্ট জয়।

এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছন্দে আছে কিউইরা
ছবি: এএফপি

ক্রিকেটের আইনে বদল আনা
মেলবোর্ন, ১৯৮১
এ ম্যাচের ফল বা স্কোরকার্ড হয়তো আপনার স্মৃতিকে তেমন করে জাগ্রত করবে না। কিন্তু ‘আন্ডারআর্ম’ শব্দটি কানে গেলেই ম্যাচটির সবকিছু হয়তো মনে পড়ে যাবে। মেলবোর্নের সেই ওয়ানডেটি যেভাবে শেষ হয়েছিল, সেটি হয়তো ক্রিকেটের ইতিহাসে কোনো ম্যাচের সবচেয়ে বিতর্কিত সমাপ্তি! ম্যাচের শেষ বলে নিউজিল্যান্ড ৬ রান নিতে পারলেই টাই হতো ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেল তাঁর ছোট ভাই ট্রেভর চ্যাপেলকে আন্ডারআর্ম বল করতে নির্দেশ দেন। ট্রেভর সেই অনুযায়ী বল করেন এবং বল পিচ দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে যায়। এমন কাণ্ডে নিউজিল্যান্ডের লেজের ব্যাটসম্যান ব্রায়ান ম্যাককেচনি এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে ব্যাট ছুড়ে মারেন। পরে গ্রেগ চ্যাপেলের ওই সিদ্ধান্ত ব্যাপক সমালোচিত হয়। আন্ডারআর্ম বল করার দিনও শেষ হয়েছে এই ঘটনায়।

টুর্নামেন্টে সব মিলিয়ে খুব একটা ভালো না খেললেও ফাইনালে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া
ছবি: এএফপি

নিউজিল্যান্ডের ১ উইকেটের জয়
অকল্যান্ড, ২০১৫
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কের এ ম্যাচটি বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম সেরা বলে মনে করেন অনেকে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া ১০৬ রানেই ৯ উইকেট হারিয়েছিল। ১৫১ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, একটি একপেশে ম্যাচই হতে যাচ্ছে। ৭ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৭২ রান তুলে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক ২৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং এলোমেলো করে দেন। পরপর দুই বলে কিউদের অষ্টম ও নবম উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেছিলেন স্টার্ক। কিন্তু ট্রেন্ট বোল্ট দুটি বল সামলে নেওয়ার পর অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন পরের ওভারে নিউজিল্যান্ডের জয়সূচক রান এনে দেন ছক্কা মেরে।