ক্রিকেটারকে যৌন হয়রানি, বরখাস্ত পাকিস্তানি কোচ

যৌন হয়রানিপ্রতীকী ছবি

ওয়াকার ইউনিসের যে দলে প্রথম শ্রেণিতে অভিষেক হয়েছিল, সে দলের হয়েই অভিষেক তাঁর। কিংবদন্তির মতোই পেস বোলার ছিলেন। দুজনের জন্মই ১৯৭১ সালে। তবে ইউনিসের জন্ম ১৬ নভেম্বর, আর নাদিম ইকবালের জন্ম খুব বিখ্যাত এক দিনে, ১৬ ডিসেম্বর। ১৮ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারে কখনো পাকিস্তান দলের হয়ে না খেলা এই পেসার পরে পেশা হিসেবে কোচিং বেছে নিয়েছিলেন। জাতীয় পর্যায়ের কোচও হয়েছেন।

আজ তাঁকে নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক নারী ক্রিকেটারকে যৌন হয়রানি করেছেন, ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করেছেন।

আরও পড়ুন

বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে এ নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিসিবির এক কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেছেন, ‘আমরা অপরাধের তদন্তে নামছি না, সেটা পুলিশের কাজ। তবে আমরা আমাদের তদন্তে বের করার চেষ্টা করব তিনি আমাদের সঙ্গে করা চুক্তির বরখেলাপ করেছেন কি না।’

ক্যারিয়ারের শুরুতে ওয়াকারের চেয়েও ভালো বোলার বলা হতো নাদিম ইকবালকে। করাচিতে একবার এক ম্যাচে তাঁর ৭ উইকেটপ্রাপ্তি ন্যাশনাল ব্যাংককে ২০ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল। ৮০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেললেও জাতীয় দলে কখনো ডাক পাননি। রমিজ রাজা দায়িত্ব নেওয়ার আগে সাবেক চেয়ারম্যানের সময়ে দক্ষিণ পাঞ্জাব অঞ্চলে কোচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন নাদিম ইকবাল। মুলতান অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা অবস্থাতেই নাকি এক ক্রিকেটারকে হেনস্তা করেছিলেন এই কোচ।

আরও পড়ুন

পুলিশের কাছে অভিযোগে ওই নারী ক্রিকেটার বলেছেন, কয়েক বছর আগে মুলতানে ট্রায়াল দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তখন কোচদের একজন ছিলেন নাদিম। এক ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেছেন, ‘আমাকে মেয়েদের দলে ঢুকিয়ে দেবেন বলে আমার ঘনিষ্ঠ হন। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি ও তাঁর বন্ধুরা আমাকে যৌন হয়রানি করা শুরু করেন। ভিডিওতে সেগুলো রেকর্ড করে আমাকে ব্ল্যাকমেল করেছেন।’

এর আগে ২০১৪ সালে মুলতানেরই বেসরকারি ক্রিকেট ক্লাবের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন পাঁচ ক্রিকেটার। তখন তাঁরা বলেছিলেন, দলে জায়গা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে যৌন সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন ওই কর্তারা। গত বছর বন্ধুকে যৌন হয়রানিতে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছিল টেস্ট স্পিনার ইয়াসির শাহর বিপক্ষে। সে অভিযোগ পরে তুলে নেওয়া হলেও ইয়াসির শাহর বন্ধুর বিরুদ্ধে মামলা এখনো চলছে।

আরও পড়ুন