খোলসবদ্ধ সংকল্পে দিন পার ভারতের
অজিঙ্কা রাহানে আর চেতেশ্বর পূজারা দিনের শেষভাগটা খেললেন অতি সাবধানে। ১২.৫ ওভারে তুললেন মাত্র ১১!
কিন্তু ভারত তাতে সন্তুষ্ট থাকবে। অস্ট্রেলিয়ার আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে আর কোনো উইকেটের পতন ঘটেনি। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে রান উঠেছে ২ উইকেটে ৯৬।
ক্রিজে দলের দুই সেরা পূজারা ও রাহানে। ভারত তাই কাল ভালো শুরুর আশা করতেই পারে।ওদিকে স্কোরবোর্ডে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস থেকে ভারত এখনো ২৪২ রানে পিছিয়ে।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর আর কোনো বিপদে পা রাখেননি পূজারা-রাহানে।
খোলসবদ্ধ ব্যাটিং বলতে যা বোঝায় ঠিক তা–ই। সিরিজ ১-১ ব্যবধানে সমতায়। এই মুহূর্তে সামান্য একটা ভুল বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
রোহিত শর্মা ও শুবমন গিলের ওপেনিং জুটি আজ ভালোই চোখ জুড়িয়েছে সিডনিতে। মোটামুটি ভালোই এনে দিয়েছিলেন। ধীরে সুস্থে, দেখেশুনে রোহিত আর শুবমান মিলে দলের ভিত্তিটা শক্ত করছিলেন। স্বচ্ছন্দে রানও তুলেছেন মাঝেমধ্যে।
কিন্তু মাত্র ৬ ওভারের ব্যবধানে রোহিত (২৬) ও শুবমান (৫০) আউট হওয়ায় বিপদের আঁচ পান রাহানে-পূজারা। ৫৩ বলে পূজারার ৯ ও রাহানের ৪০ বলে ৫ রানে অপরাজিত ইনিংসে দিন শেষ করে ভারত।
প্যাট কামিন্স দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। ১২ ওভারে ৬ মেডেন ও ১৯ রানে শুবমানকে তুলে নেন এ পেসার।
টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিকে তিন অঙ্কে রূপ দিতে না পারার আক্ষেপ থাকবে শুবমানের। ১০১ বল খেলে তাঁর ৫০ রানের ইনিংসটি শেষ হয়েছে কামিন্সের বলে ক্যামেরন গ্রিনের ক্যাচে।
রোহিত শর্মা সিরিজে প্রথম খেলতে নেমেছেন। জড়তা এড়িয়ে ভালোই খেলেছেন। আম্পায়ারের এক ভুল সিদ্ধান্ত তাঁর বিপক্ষে গিয়েছিল। কিন্তু ডিআরএস বাঁচিয়ে দেয় তাঁকে।
তবে এরপর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। জশ হ্যাজলউডের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দেন তিনি। ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৭৭ বলে ২৬ রান করেন রোহিত।