গোধূলির আগেই শেষ ইংল্যান্ডের ইনিংস

৬ উইকেট নিয়েছেন ভারতের বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)।ছবি: বিসিসিআই

দিবারাত্রি টেস্টে গোধূলির সময়কে নিয়ে একটা শঙ্কা থাকে। এই সময় বল খুব সুইং করে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। আহমেদাবাদের দিন–রাতের ম্যাচের আগেও ‘গোধূলি’ শব্দটা ঘুরেফিরেই আউড়েছেন দুই দলের খেলোয়াড়েরা। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে (ম্যাচের আগে হঠাৎই সরদার প্যাটেলের নাম বদলে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে নামকরণ হয়েছে) গোধূলি আসার আগেই যে অন্ধকার দেখেছে ইংল্যান্ড।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতীয় স্পিন-বিষে নীল জো রুটের দল। আজ আহমেদাবাদে সন্ধ্যা নামার আগেই ১১২ রানে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। মাত্রই দ্বিতীয় টেস্ট খেলা ভারতীয় বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল ৩৮ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

ইংল্যান্ডের রানটা যে ১০০ পেরিয়েছে, তাতে বড় অবদান জ্যাক ক্রলির। দলের রানের প্রায় অর্ধেকই যে এই ওপেনারের। ৮৪ বলে ৫৩ রান করে ক্রলি যখন ফিরেছেন, চতুর্থ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের রান ৮০। ক্রলি ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন অধিনায়ক জো রুট (১৭), উইকেটকিপার বেন ফোকস (১২) ও পেসার জফরা আর্চার (১১)।

ইংল্যান্ডের ওপেনার জ্যাক ক্রলি করেছেন ৫৩ রান।
ছবি: বিসিসিআই

ভারতের পক্ষে ‘ধ্বংসযজ্ঞে’র সূচনাটা করেছিলেন অবশ্য পেসার ইশান্ত শর্মা। তিনি ডম সিবলিকে এলবিডব্লু করে নিজের ১০০তম টেস্টের উপলক্ষটাকে উদ্‌যাপন করে ফেলেন ইনিংসের শুরুতেই। স্কোরবোর্ডে ইংল্যান্ড তখন রান দেখছে মাত্র ২। শুরুর ধাক্কা সামলাতে মাঠে নেমেছিলেন জনি বেয়ারস্টো। কিন্তু তিনি বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। অক্ষরের করা প্রথম বলেই এলবিডব্লু হন।

এরপর সিবলির সঙ্গে জো রুটের একটা জুটি ৪৭ রানের। ব্যস। রুটকে অশ্বিন এলবির ফাঁদে ফেলার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড। উইকেট হারিয়েছে নিয়মিতই। জ্যাক ক্রলি, ওলি পোপ, বেন স্টোকস, জফরা আর্চার, জ্যাক লিচ—রীতিমতো আসা-যাওয়ার মিছিল। ৭৪ থেকে ১১২—এই ৩৮ রানেই শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড।

উৎসবের আবহই ছিল নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।
ছবি: রয়টার্স