গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে পাকিস্তান

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে পাকিস্তানছবি: এএফপি

৬৮*, ৯, ৫১, ৭০ রানের পর আজ ৬৬— এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম ব্যাটিংয়ে নামা মানেই যেন তাঁর নামের পাশে একটি ফিফটি যোগ হওয়া। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সুপার টুয়েলভ পর্বের শেষ ম্যাচেও তাই হলো। আগে ব্যাটিং করে শুরুতে বাবর আর শেষে অভিজ্ঞ শোয়েব মালিকের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ১৮৯ রান তুলেছিল পাকিস্তান। সেই রানের জবাবে ৬ উইকেটে ১১৭ রানে থেমেছে স্কটল্যান্ডের ইনিংস। ৭২ রানের বিশাল জয়ে গ্রুপ-২ এর শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে গেল পাকিস্তান। তাদের প্রতিপক্ষ গ্রুপ ১ এর দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া।

১৮ বলে ফিফটি করেছেন শোয়েব মালিক
ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের বিশাল রান তাড়া করতে নেমে যে ধরনের শুরু দরকার ছিল সেটি করতে পেরেছে স্কটল্যান্ড। দ্রুত রানও আসেনি। উল্টো উইকেট হারিয়েছে কাইল কয়েটজারের দল। পুরো টুর্নামেন্টের মতো আজও রান পাননি স্কটিশ অধিনায়ক কয়েটজার। ১৬ বল খেলে ৯ রান করে হাসান আলীর বলে বোল্ড হন তিনি। অষ্টম ওভারে ম্যাথু ক্রস হন রানআউট। এ সময়টা মন্থর ব্যাটিংয়ে স্কটিশদের বিপদ বাড়ান জর্জ মানসি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত এই ওপেনার আজ ৩১ বল খেলে ১৭ রান করেছেন। ১১তম ওভারে মানসি আউট হওয়ার সময় স্কটল্যান্ডের রান মাত্র ৪১ রান।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে দাঁড়াতেই পারল না স্কটল্যান্ড
ছবি: এএফপি

স্কটল্যান্ড ইনিংসের পরের দশ ওভারের গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন রিচি বেরিংটন। ৩৭ বল খেলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর ইনিংসেই স্কটল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৭ রান করেছে।

এর আগে বরাবরের মতো পাকিস্তানকে ভালো সূচনা এনে দেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। পাওয়ারপ্লেতে মাত্র ৩৫ রান এলেও উইকেট হারায়নি পাকিস্তান। পরে সেই সুবিধাটা পেয়েছে পাকিস্তান। মাঝের ওভারে রিজওয়ান, ফখর জামানের উইকেট হারালেও রানের গতি বাড়াতে থাকেন বাবর ও অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজ। দুজন মিলে ৩২ বলে ৫৩ রান যোগ করেন তাঁরা। জুটিতে মূলত নায়ক ছিলেন হাফিজ। ১৯ বলে ৩১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। ৪টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল হাফিজের বিধ্বংসী ইনিংসে।

আরেকটি ফিফটি বাবর আজমের
ছবি: এএফপি

হাফিজ আউট হলেও তাঁর দায়িত্বটা পালন করেন আরেক অভিজ্ঞ মালিক। ক্রিজে এসেই শারজার ছোট বাউন্ডারিতে চার-ছক্কার বৃষ্টি নামান। প্রথমে বাবর ও পরে আসিফ আলীর সঙ্গে দুটি জুটি গড়েন মালিক। ৪৭ বল খেলে ৬৬ রান করো বাবরও দ্রুত রান তুলতে থাকেন।

দ্রুত রানের চেষ্টায় বাবর আউট হলে মালিককে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন আসিফ। তিনি অবশ্য মালিককে শুধু সঙ্গই দিয়েছেন। কারণ ৪ বল খেলে ৫ রান করা আসিফ অন্য প্রান্ত থেকে শুধু মালিকের বিধ্বংসী ব্যাটিংই দেখেছেন। মাত্র ১৮ বলে ৫৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে ১টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন মালিক। এবারের বিশ্বকাপে দ্রুততম ফিফটি এটি।