ঘুমই তাঁর সাফল্যের রহস্য

‘ভারতে পৌঁছেছি’, টুইটারে সিমন্সের সেলফি
‘ভারতে পৌঁছেছি’, টুইটারে সিমন্সের সেলফি

গত রোববারও ত্রিনিদাদে বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। হঠাৎই ফোন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান নির্বাচক ক্লাইভ লয়েড ফোনের ওপাশে। জানতে চাইলেন, ‘লেন্ডল, তোমার কী অবস্থা? ফিট আছ? খেলতে পারবে?’ উত্তর দিতে কয়েক সেকেন্ড সময় নিলেন। বললেন, ‘ঠিক আছে, আমি আসছি।’

পৃথিবীর এ প্রান্তে যখন দিন, ও প্রান্তে রাত। সেই অন্য প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার উড়াল দিয়ে, দুটি ফ্লাইট বদলে গত মঙ্গলবার ত্রিনিদাদ থেকে মুম্বাইয়ে এসে পৌঁছালেন লেন্ডল সিমন্স। জেট ল্যাগ আছে, শরীর বিভ্রান্ত হয়, দিনে ঘুমাতে ইচ্ছে করে, রাতে ঘুম আসে না। কিন্তু দীর্ঘ ভ্রমণক্লান্তি, জেট ল্যাগের ধকল সামলে একদিনের হালকা অনুশীলন করে নামলেন মাঠে। কাল একবারের জন্যও মনে হয়েছে সিমন্স ক্লান্ত? এই বিশ্বকাপে এর আগে একটা ম্যাচও খেলেননি?

চোটের কারণে বিশ্বকাপ দলে ছিলেন না। শেষ মুহূর্তে তাঁকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয় এভিন লুইসকে। সিমন্স তাই বাড়িতে বসেই টিভিতে দেখছিলেন এবারের বিশ্বকাপ। কিন্তু আরেক সতীর্থ আন্দ্রে ফ্লেচারের চোট তাঁকে আকস্মিকভাবে নিয়ে এল দলে। আর দলে এসে প্রথম ম্যাচেই ফাইনালে তোলার নায়ক হয়ে গেলেন। সেটিও কী নাটকীয় কায়দায়! সতীর্থ ডোয়াইন ব্রাভো তো টুইট-ই করলেন, ‘প্লেন থেকে নেমেই এমন ব্যাটিং করতে দলকে জেতানো! সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন।’

কাল ৫১ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতানোর পর তাঁকে করা প্রথম প্রশ্নটাই ছিল, যথেষ্ট ঘুমাতে পেরেছেন তো? সিমন্স হেসে জানালেন, ঘুম যথেষ্ট হয়েছে জন্যই মাথা অমন ঠান্ডা রেখে খেলতে পারলেন, ‘এই ম্যাচের জন্য ভালোভাবেই বিশ্রাম নিয়েছি। দুটি ফ্লাইটেই বেশ ঘুমিয়ে নিয়েছি। এখানে আসার পর সারা রাত ঘুমিয়েছি। সকালে অনুশীলন করে আবারও দুপুর তিনটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ঘুমিয়েছি। এরপর দুই ঘণ্টার জন্য উঠে রাত ১২টা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত ঘুমিয়েছি আবার। তাই বিশ্রামটা বেশ ভালোই হয়েছে।’

আরেকটি ব্যাপার তাঁর পক্ষে ছিল। বিশ্বকাপ দলে না থাকলেও মুম্বাইয়ে আসার প্রস্তুতি নিয়েই রাখা ছিল। কদিন পরে শুরু আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে খেলবেন। শুক্রবারের (আজ) টিকিট কেটে রাখা ছিল। সেটিই এগিয়ে নিয়ে উড়ে এলেন। ভারতকেও উড়িয়ে দিলেন!