চট্টগ্রামে নীরবতায় স্মরণ করা হলো যাঁকে

নীরবে স্মরণ করা হলো সাবেক ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলারকে।ছবি: শামসুল হক

চট্টগ্রামে টেস্টের শেষ দিনের খেলা শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করলেন দুই দলের খেলোয়াড়েরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা মাঠে নামলেন কালো ব্যাজ পরে। কৌতূহল হতেই পারে, কাকে স্মরণ করে এই শোকের রং ধারণ করলেন ক্যারিবীয় ক্রিকেটাররা।

এজরা মোজলি—নামটা অনেকের অচেনা লাগতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলেছেন মাত্র দুই টেস্ট আর একটি ওয়ানডে। কিন্তু সেই মোজলির মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান ক্যারিবীয় ক্রিকেট। সত্তর ও আশির দশকের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ফাস্ট বোলার ছিলেন তিনি। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে জায়গা পাকা করার সুযোগ হয়নি। সেটি হবে কীভাবে, ক্যারিবীয় দলে যে তখন বিশ্বসেরা সব ফাস্ট বোলারের ছড়াছড়ি। অ্যান্ডি রবার্টস, ম্যালকম মার্শাল, মাইকেল হোল্ডিং, জোয়েল গার্নার, কলিন ক্রফটদের সরিয়ে কোনো ফাস্ট বোলারের সুযোগ করে নেওয়া যে সে সময় রীতিমতো অসম্ভবই।

সেই মোজলি গতকাল শনিবার বার্বাডোজের রাজধানী ব্রিজটাউনে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। ৬৩ বছর বয়সী এই সাবেক ক্রিকেটার ছিলেন সাইকেলে। একটি চার রাস্তার মোড় অতিক্রম করার সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি।

মোজলির মৃত্যুতে ক্যারিবীয় দলের শোক।
ছবি: শামসুল হক

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক ইংল্যান্ডের মাটিতে। কাউন্টি দল গ্ল্যামারগনের হয়ে। ক্যারিয়ারে তেমন কিছু করার সুযোগ হয়নি। কিন্তু বেশ কিছু ঘটনার সঙ্গেই নিজেকে জড়িয়েছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্রোহী সফরে গিয়েছিলেন। সে কারণে প্রায় ৮ বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ছিলেন। ১৯৯০ সালে তাঁর নিষেধাজ্ঞা তুলে আবার ডাকা হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে। সেবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দুটি টেস্ট খেলেন মোজলি। এই সিরিজে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

সত্তর ও আশির দশকে স্মরণীয় এজরা মোজলি।
সংগৃহীত ছবি

তবে সিরিজটিতে মোজলি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক গ্রাহাম গুচের হাত ভাঙার জন্য। নিষিদ্ধ থাকার সময় মোজলি দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন প্রভিন্সের হয়ে খেলেছেন। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত খেলেছেন গ্ল্যামারগনের হয়েও। এরপর ল্যাঙ্কাশায়ার লিগে খেলেছেন পেশাদারি ক্রিকেট। অভিষিক্ত হওয়ার পরে নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতে পারেননি পিঠের চোটের কারণে।

এক শোকবার্তায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালক, সাবেক ক্যারিবীয় অধিনায়ক জিমি অ্যাডামস বলেন, ‘এজরা ছিলেন সত্তর ও আশির দশকে আমাদের অঞ্চলের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার।’