চট্টগ্রামে স্বস্তির বাতাস সৈকতে

শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরাই চট্টগ্রামকে ভালো স্কোর এনে দিয়েছে।ছবি: শামসুল হক

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কেন যেন আড়ষ্ট হয়ে রইলেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রতিটি ম্যাচেই বড় সংগ্রহ না হওয়ার যে হাহুতাশ, সেটি অব্যাহত রইল আজও। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে সৌম্য সরকার-লিটন দাসদের চট্টগ্রাম স্কোরবোর্ড ৭ উইকেটে ১৫১ রানের বেশি তুলতে পারল না।

আগের ম্যাচেই দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। কিন্তু আজ সৌম্য (৬ বলে ৫) পারেননি বেশিক্ষণ টিকতে। আবু জায়েদের বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন তৌহিদ হৃদয়কে। তবে লিটনের ব্যাটে প্রতিশ্রুতি ছিল। সেভাবে খেলাও শুরু করেছিলেন। তাঁর ব্যাট থেকে যে চারটি বাউন্ডারি এসেছে, তাতে ছিল প্রত্যয়ের ব্যাপারটি। কিন্তু বড় অসময়েই শেষ হয়েছে তাঁর ইনিংস। ২৫ বলে ৩৫ রান করে আবু জায়েদের বলে সুইপ ধরনের এক শট খেলতে গিয়ে লেগ স্লিপে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ হয়েছেন তিনি।

সৌম্য-লিটন বাদেও চট্টগ্রামের সংগ্রহটা বড় করার ব্যাটসম্যান ছিল। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ছিলেন, ছিলেন শামসুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন। জিয়াউর রহমানও ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে জানেন। কিন্তু মিঠুন, শামসুর আর মোসাদ্দেক—তিনজনেরই ইনিংস শেষ হয়েছে আগেভাগেই। তিনজনই নিজেদের ইনিংসের ভিত গড়েছিলেন। হাত খুলে খেলার মতো সেটও হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা পারেননি।

সাদ্দেক ২৪ বলে ২৮ রান করে কামরুল ইসলামের বলে তাসকিন আহমেদের হাতে ধরা পড়েন। মিঠুনও (১৩ বলে ১৭) শিকার হয়েছেন তরুণ পেসার সুমন খানের। তাঁর ক্যাচটি নিয়েছেন আফিফ হোসেন। শামসুর রহমান (২৮ বলে ২৬) অবশ্য যা ব্যাটিং করেছেন, সেটির সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যায় না। তিনি উইকেটের পেছনে ইরফান শুক্কুরকে ক্যাচ দিয়েছেন ওই কামরুল ইসলামের বলেই।

ফরচুন বরিশালের দারুণ বোলিং চট্টগ্রামকে এগোতে দেয়নি বেশি।
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের ইনিংস ভদ্রোচিত দেখাচ্ছে সৈকত আলীর জন্য। ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে সৈকত দেখিয়েছেন হাত খুলে খেলা যায় এবং সেটি কোনো ঝুঁকি না নিয়েই। দারুণ তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি চট্টগ্রামের সংগ্রহকে নিয়ে গেছেন ১৫০-এর ওপরে। তিনি ২৭ রানের একটা ছোট্ট অথচ গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন মাত্র ১১ বলে। একটি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল ৩টি বিশাল ছক্কা।

ফরচুন বরিশালের সেরা দুই বোলার ছিলেন কামরুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। যদিও উইকেট শিকারে এগিয়ে আছেন আবু জায়েদ। তিনি ৪ ওভার বোলিং করে নিয়েছেন ২ উইকেট। তবে তিনি খরচ করেছেন ৪২ রান। কামরুল ও মিরাজের ইকোনমি যথাক্রমে ৫.৭৫ ও ৬.২৫। দুজনই নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। তরুণ সুমন খানের বোলিং ছিল মোটামুটি, ৪ ওভার বোলিং করে ৩১ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাসকিন ৪ ওভার বোলিং করে ৩০ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।