চার ম্যাচ পর জিতল কলকাতা নাইট রাইডার্স

দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ছেন কলকাতা অধিনায়ক এউইন মরগান (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)।ছবি: আইপিএল

খুব বেশি লক্ষ্য ছিল না কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে। আজ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংস মাত্র ১২৪ রানের লক্ষ্যই দিতে পারে কলকাতাকে। সেই লক্ষ্যটা ছুঁতে এউইন মরগানের দলকে খেলতে হয়েছে ১৬.৪ ওভার পর্যন্ত, হারাতে হয়েছে ৫ উইকেট।

এই ম্যাচের আগে পাঁচ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জিতেছিল শাহরুখ খানের কলকাতা। সেটি ছিল চেন্নাইয়ে এবারের আইপিএলে কলকাতার প্রথম ম্যাচ। আট দলের প্রতিযোগিতায় আজকের আগে সবার নিচেই ছিল দুবারের চ্যাম্পিয়নরা। এবারের আইপিএলে আহমেদাবাদ পর্বের প্রথম ম্যাচটি জিতে আপাতত তলানি থেকে উঠে এসেছে কলকাতা। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও পাঞ্জাব কিংসের মতো সমান ৪ পয়েন্ট পেলেও, ছয় ম্যাচ খেলা কলকাতা নেট রান রেটের হিসেবে আছে পঞ্চম স্থানে।

অবশেষে বলার মতো রান পেলেন এইউন মরগান।
ছবি: আইপিএল

ব্যাট হাতে কাল কলকাতার হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন অধিনায়ক এউইন মরগান। প্রথম পাঁচ ম্যাচে মাত্র ৪৫ রান করা ইংল্যান্ড অধিনায়ক আজ এক ইনিংসেই ছাড়িয়ে গেছেন তা। দলকে জিতিয়ে মরগান ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে। আয়ারল্যান্ড থেকে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমানো মরগানের ৪০ বলের ইনিংসটি সাজানো ৪টি চার ও ২টি ছয়ে।

মরগান ছাড়া কলকাতার ইনিংসে বলার মতো রান পেয়েছেন রাহুল ত্রিপাঠী। ওয়ান ডাউনে নেমে ৩২ বলে ৪১ রান করেছেন ৭ চারে। ত্রিপাঠীকে উইকেটে আসতে হয় প্রথম ওভারেই। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে কাভারে শাহরুখ খানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন নিতীশ রানা। ওভারটি করেছেন ময়েজেস হেনরিকেস। দ্বিতীয় ওভারে আরেক ওপেনার শুবমান গিল (৮ বলে ৯ রান) ও তৃতীয় ওভারে সুনীল নারাইনও (৪ বলে ০) ফিরে গেলে বিপদেই পড়ে যায় কলকাতা। দলটির রান তখন ৩ উইকেটে ১৭।

এখান থেকে ত্রিপাঠীকে নিয়ে ৬৬ রানের জুটি মরগানের। ত্রিপাঠী ফিরে যাওয়ার পর রানের গতিটা একটু মন্থর হয়ে যায় কলকাতার। আন্দ্রে রাসেল-মরগানের পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১৫ রান আসে ১৯ বলে। ১৫তম ওভারে রাসেল (৯ বলে ১০) রানআউট হয়ে ফিরে যাওয়ার পর দিনেশ কার্তিক এসে বেশি সময় নেননি। ১৭তম ওভারে চতুর্থ বলে বাউন্ডারি মেরে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান যখন দলকে জেতালেন অপরাজিত ছিলেন ৬ বলে ১২ রানে।

এর আগে পাঞ্জাব পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে করে ১২৩ রান। সর্বোচ্চ ৩১ রান এসেছে ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ব্যাট থেকে। ওই রান করতে অবশ্য ৩৪ বল খেলেছে আগারওয়াল। পাঞ্জাবের রানটা ১০০ পেরোয় ইংলিশ অলরাউন্ডার ক্রিস জর্ডানের ১৮ বলের ৩০ রানের ইনিংসে।