চীনের রকেট রক্ত হিম করে দিল স্মিথ–ওয়ার্নারদের

অস্ট্রেলিয়ার দুই ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার।ফাইল ছবি: এএফপি

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার, যাঁরা আইপিএল খেলতে গিয়েছিলেন, সাবেক হিসেবে আইপিএলে ধারাভাষ্যের কাজ করছিলেন, তাঁদের যেন এখন শনির দশা চলছে। আইপিএল বাতিল হয়ে যাওয়ার পর দেশে যে ফিরবেন, সে উপায়ও নেই। অস্ট্রেলিয়া ভারতের সঙ্গে আকাশপথ বন্ধ রেখেছে।

করোনার এই দুঃসময়ের বন্দী জীবন যাপন করছেন মালদ্বীপে। সেখানে কোয়ারেন্টিন শেষ হলেই কেবল বাড়ি ফিরতে পারবেন। এমন অবস্থায় মালদ্বীপেই আতঙ্কজনক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হলো ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথদের।

ওয়ার্নার খেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে
ছবি : আইপিএল ওয়েবসাইট

বেশ কয়েক দিন ধরেই মহাশূন্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা চীনা রকেট নিয়ে খুব আলোচনা। এটি আতঙ্কে পরিণত হয়েছিল, যখন জানা গেল অনিয়ন্ত্রিত এই রকেট যেকোনো সময় পৃথিবীর বুকে ভেঙে পড়তে পারে। কোথায় এটি ভেঙে পড়বে, কিসের ওপর ভেঙে পড়বে—আতঙ্কটা ছিল এটি নিয়েই। শেষ পর্যন্ত রকেটের ধ্বংসাবশেষ ভেঙে পড়েছে ভারত মহাসাগরের জলে। কোনো বড় ধরনের বিপদ না ঘটিয়েই যে চীনা রকেটের প্রসঙ্গ শেষ হয়েছে, পৃথিবীব্যাপী স্বস্তি এটি নিয়েই।

কিন্তু অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা নিজেদের কিছুটা দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। রকেটটি ভেঙে পড়তে হলো তাঁদের কান ঘেঁষেই! ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে কোয়ারেন্টিনে কাটানো অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের মনে আতঙ্কের স্রোত বইয়ে দিয়ে সেই চীনা রকেট ভেঙে পড়েছে তাঁদের খুব কাছে।

স্মিথ এবার খেলছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে
ছবি: আইপিএল

বিকট শব্দে রক্ত হিম হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল নাকি তাঁদের। শব্দের চেয়ে দ্রুতগামী রকেট যখন ভেঙে পড়ে, তখন সেটি ‘সনিক বুম’ তৈরি করে। আর তাতেই আতঙ্কে নীল অস্ট্রেলীয়রা। ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে যে দুই দিন কেটে গেলেও আতঙ্ক কাটেনি তাঁদের। মালদ্বীপে প্রিয়জনদের কাছে ফেরার এই অপেক্ষাটা স্মিথ–ওয়ার্নার–কামিন্স–পন্টিংদের কাছে বড় দীর্ঘই মনে হচ্ছে।

কামিন্স খেলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে।
ছবি: বিসিসিআই

করোনার কারণে আইপিএল স্থগিত হয়ে যাওয়াতে অস্ট্রেলীয়রাই সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন। খেলোয়াড়, কোচিং সাপোর্ট স্টাফ, ম্যাচ অফিশিয়াল মিলিয়ে মোট ৩৭ জন এ মুহূর্ত দেশে ফেরার অপেক্ষায় আটকে আছেন মালদ্বীপে। করোনার ক্ষতিকর ভারতীয় ধরন থেকে নিজ নিজ দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে ভারতফেরতদের ব্যাপারে কড়াকড়ি এখন প্রায় সব দেশেই। অস্ট্রেলিয়া নিজেদের এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে বিনা অনুমতি ও কোয়ারেন্টিন ছাড়া ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়াতে কেউ ফিরলে তাঁদের ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অস্ট্রেলীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিলেও করোনা প্রসঙ্গে নিজেদের সিদ্ধান্ত অটল তারা।