ছয়বার ফ্লাইট বদলে সিপিএল খেলতে গিয়েছিলেন রাজা

প্রথমবার সিপিএল খেলতে গিয়েই শিরোপার দেখা পেয়েছেন রাজা।প্রথম আলো ফাইল ছবি

এবারই প্রথম ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে গিয়েছিলেন সিকান্দার রাজা। এলেন, দেখলেন আর জয় করলেন—ব্যাপারটা এমনই। প্রথমবার খেলতে নেমেই পেয়েছেন শিরোপার স্বাদ। ৩৫ বছর বয়সী এই জিম্বাবুইয়ান ১৭ গড়ে ৭ উইকেট পেয়েছেন অফ স্পিনে। টুর্নামেন্টজুড়ে তাঁর পারফরম্যান্স প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু একটু এদিক-ওদিক হলেই আর সিপিএল খেলা হতো না তাঁর।

শিরোপা জেতার পরই নানা গল্প শোনা যায়। কে কত কঠিন পথ পেরিয়ে এসেছেন, সেই গল্প। তবে জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডারের গল্পটা একটু অদ্ভুত। এই টুর্নামেন্ট খেলতে যে পরিশ্রম করেছেন, সেটা দেখা যায় না ইদানীং। ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলার জন্য জিম্বাবুয়ে থেকে ত্রিনিদাদ যেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাঁর। করোনাভাইরাসের কারণে ভ্রমণ এখন বেশ কঠিন। ছয়বার ফ্লাইট বদল করতে হয়েছে রাজাকে।

সিপিএলে প্রায় একতরফা দাপট ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের। এ মৌসুমে সব ম্যাচেই জিতেছে দলটি। ফাইনালে সেন্ট লুসিয়া জুকসকে হারিয়ে বুঝে নিয়েছে শিরোপা। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এ নিয়ে ছয়বার আয়োজিত হলো, এর মধ্যে মাত্র দুবার অন্য কোনো দলকে শিরোপা জিততে দিয়েছে ত্রিনবাগো। কাইরন পোলার্ড, লেন্ডল সিমন্স, ডোয়াইন ও ড্যারেন ব্রাভো ও সুনীল নারাইনদের নিয়ে বেশ শক্তিশালী দল ত্রিনবাগোর। তবু সিকান্দার রাজাকে পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে দলটি। নাইট রাইডার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভেঙ্কি মাইসোর এ ব্যাপারে কারও কথা শুনতে রাজি হননি।

ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর কাছে সে গল্পটাই করেছেন রাজা, ‘হারারে থেকে ত্রিনিদাদের যাত্রাটা অনেক লম্বা ছিল, কিন্তু এর জন্য পুরো কৃতিত্ব প্রাপ্য ভেঙ্কি স্যারের। একসময় তো মনে হয়েছিল, এবার আর সিপিএল খেলা হচ্ছে না। তারা তো ত্রিনবাগোকে বলেই দিয়েছিল, বদলি আরেকজনকে নিতে। কিন্তু ভেঙ্কি স্যার বলেছেন, “না, না, না—আমরা ঠিকই ওকে নিয়ে আসব।”’

এবার বিভিন্ন বিমান বন্দর ঘোরার অভিজ্ঞতা হলো রাজার।
ছবি: টুইটার

মাইসোর কথা রেখেছেন। নানা ‘ঘাট’ ঘুরিয়ে হলেও রাজাকে হাজির করেছেন ত্রিনবাগোর (টিকেআর) ড্রেসিংরুমে, ‘ সত্যি বলছি, তিনিই নিশ্চিত করেছেন আমি যাচ্ছি। যাত্রাটা ছিল হারারে-আদ্দিস আবাবা-দুবাই- আমস্টারডাম-প্যারিস-ফোর্ত ডি ফ্রান্স-মার্টিনিক-বার্বাডোজ-টিকেআর। এটা খুবই কঠিন ছিল। কিন্তু এখন ফিরে তাকালে মনে হয়, এ কষ্টের ফল পেয়েছি।’