জাদেজার সঙ্গে কথা বলেই পেলেন হ্যাটট্রিক

গতকাল হ্যাটট্রিক করা অ্যাগার জানাচ্ছেন তাঁর আদর্শের কথা।
গতকাল হ্যাটট্রিক করা অ্যাগার জানাচ্ছেন তাঁর আদর্শের কথা।

দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাল নতুন লজ্জা উপহার দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। জোহানেসবার্গে স্বাগতিকদের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সবচেয়ে কম রানে গুটিয়ে দেওয়ার পেছনে মূল অবদান রেখেছেন অ্যাস্টন অ্যাগার। ২৪ রানে ৫ উইকেটে পেয়েছেন। যার প্রথম তিনটি নিয়েছেন টানা তিন বলে। ৪৪ রানে ৭ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ পর্যন্ত ৮৯ রানে অলআউট হয়ে হেরেছে ১০৭ রানে। 

এমন এক অর্জনের পেছনে রবীন্দ্র জাদেজার অবদান দেখছেন অ্যাগার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দলে নেই এই ভারতীয় বাঁহাতি স্পিনার। কিন্তু সংক্ষিপ্ত সংস্করণে প্রতিপক্ষের মাথা ব্যথার কারণ হয়েছিলেন জাদেজা। অ্যাগার বলছেন, বোলিং নিয়ে জাদেজার সঙ্গে কথা বলে যে পরামর্শ নিয়েছেন, সেটাই গতকালের সাফল্যে প্রভাব ফেলেছে। ম্যাচ শেষে অ্যাগার বলছিলেন, ‘এটা খুবই আনন্দের। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিন। আমার কাজ স্টার্ক, কামিন্স, রিচার্ডসন ও জাম্পারা আগেই সহজ করে দিয়েছে।’

৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবু ম্যাচের যে কোনো পরিস্থিতিতেই হ্যাটট্রিক করা সহজ নয়। নিজের বোলিং দক্ষতা নিয়ে কথা বলতে গিয়েই উঠে এল জাদেজা প্রসঙ্গ,‘ ভারত সিরিজের পর জাদেজার সঙ্গে বেশ ভালো একটা আলোচনা হয়েছে। আমার সবচেয়ে পছন্দের খেলোয়াড় তিনি। আমি তাঁর মতো করেই ক্রিকেট খেলতে চাই। সে একজন রকস্টার। বল পেটাচ্ছে, আগ্রাসী ফিল্ডার এবং বল ঘোরায়। তবে মাঠে তাঁর উপস্থিতিটাই বেশি চোখে লাগে। তাঁর আত্মবিশ্বাস! তাঁর সঙ্গে স্পিন নিয়ে কথা বলা, বল ঘোরানোর চেষ্টা করা। যখন ব্যাট করেন তখনো ইতিবাচক থাকেন এবং ফিল্ডিংয়েও সে মানসিকতা নিয়েই নামেন।’

ঘরের মাঠে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো করলেও ভারত সফরে এসে ম্যাচে কোনো ছাপ ফেলতে পারেননি অ্যাগার। সিরিজ শেষে তাই জাদেজার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন ২৬ বছর বয়সী অ্যাগার, ‘তাঁর সঙ্গে কথা বলে অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমার চারপাশে ভালো ভালো সব মানুষ আছেন। আমার বাগ্‌দত্তা অনেক সহায়তা করে। আমি ভাগ্যবান যে অসাধারণ একটি পরিবার পেয়েছি।’