জিম্বাবুইয়ানের ইতিহাসের দিনটাও পাকিস্তানের

হারারেতে দারুণ এক দিন কাটাল পাকিস্তান।ছবি: টুইটার

এ ম্যাচ কয়জন মনে রাখবেন?

হারারেতে প্রথম দিনে যা হলো, তাতে সংখ্যাটি খুব কম হবে। সংখ্যাটি যে অন্তত পাঁচ, এ নিয়ে অবশ্য কোনো সন্দেহ নেই। কারণ, জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তানের এই ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটের কুলীন সম্প্রদায়ের অংশ হয়ে গেছেন এই পাঁচজন।

মিল্টন শুম্বা, রিচার্ড এনগারাভা, রয় কাইয়া, সাজিদ খান ও ল্যাংটন রুসেরে। তাঁদের মধ্যে রাসেরের ঘটনা শুধু ব্যক্তিগত অর্জনে আটকে নেই। কারণ, আজ রুসেরেই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান, যিনি কোনো টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিং করলেন। ৩৫ বছর বয়সী এই জিম্বাবুইয়ান তাই ইতিহাসে নিজের জায়গা পাকা করে নিলেন। কিন্তু তাঁর ইতিহাসের দিনটার বাদবাকিটা পাকিস্তানের।

প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনেই ১৭৬ রান তুলে গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। জবাবে দিন শেষ হওয়ার আগে ১০৩ রান তুলে ফেলেছে পাকিস্তান। উইকেটের ঘরে এখনো কোনো সংখ্যা লেখার সুযোগ পাননি স্কোরার।

ইতিহাসে নাম লেখালেন ল্যাংটন রুসেরে।
ছবি: এএফপি

টসের আগেই দুঃসংবাদ পেয়েছে স্বাগতিক দল। নিয়মিত অধিনায়ক শন উইলিয়ামস চোটে পড়ে ছিটকে গেছেন। দলকে নেতৃত্ব দিতে নামা ব্রেন্ডন টেলর টস করতে নেমে ভাগ্যের সাহায্য পেয়েছেন, জিতেছেন টস। কিন্তু ব্যাটিং বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তটা বুমেরাং হয়েছে। স্কোরবোর্ডে কিছু যোগ হওয়ার আগেই বিদায় নিয়েছেন কেভিন কাসুজা। সেই যে শুরু হলো, ড্রেসিংরুমমুখী যাত্রা আর থামেনি।

৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিক দল। এর মধ্যে চতুর্থ উইকেটটি ব্রেন্ডন টেলরের। দুই অভিষিক্ত শুম্বা ও কাইয়া এরপর একটু নিজেদের চেনানোর চেষ্টা করলেন। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিজেদের প্রথম ৫০ পেরোনো জুটিও গড়েছেন দুজন। ১০৬ বলের জুটিটার শেষ দুর্ভাগ্যে। ২৭ রান করা শুম্বা ফিরেছেন রান আউট হয়ে। রেজিস চাকাভার সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়ার পর দুর্ভাগ্য খুঁজে পেল কাইয়াকেও। মাত্র দুই রানের জন্য অভিষেকে ফিফটির দেখা পেলেন না কাইয়া।

৫৯ রানের জুটিতে দুই অভিষিক্ত শুম্বা ও কাইয়া।
ছবি: টুইটার

১২৪ রানে ফিরলেন কাইয়া। তিন রান পরেই চাকাভাকেও ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট বুঝে নিলেন হাসান আলী। ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল তাঁর। কিন্তু শাহিন শাহ আফ্রিদি সে সুযোগ দেননি। জিম্বাবুয়ের শেষ তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন বাঁহাতি পেসার। ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ডোনাল্ড তিরিপানো। ৪৩ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন আফ্রিদি, হাসানের ৪ উইকেট ৫৩ রানে।

চা–বিরতির পর ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান দিন শেষ হওয়ার আগে ১০৩ রান তুলে নিয়েছে। আবিদ আলী ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন, ইমরান বাট করেছেন ৪৩ রান।