জিম্বাবুয়েকে দুই দিনের ছুটি দিল পাকিস্তান

হাসান আলীর সুবাদে আড়াই দিনের মধ্যে জয় তুলে নিল পাকিস্তান।ছবি: টুইটার

টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত খেলেছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজের তিন ম্যাচেই জয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল স্বাগতিক দল। পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ম্যাচে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের স্বপ্নও দেখছিল। সে লক্ষ্য পূরণ না হলেও ক্ষীণশক্তির এক দল নিয়ে এমন লড়াই আশাবাদী করে তুলেছিল।

ফরম্যাট বদলে সাদা পোশাক চরাতেই সেই জিম্বাবুয়ে বদলে গেল। হারারেতে সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রথম দিনেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল দলটি। দ্বিতীয় দিনেও সফরকারীদের দাপট দেখেছে তারা। আজ তৃতীয় দিনে নিজেদের অসহায়ত্ব আবার দেখিয়ে দিল জিম্বাবুয়ে।

প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানে তোলা জিম্বাবুয়ে আজ দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ১৩৪ রান তুলতে পেরেছে। প্রতিপক্ষের এমন ব্যাটিং-ধস পাকিস্তানকে এনে দিয়েছে ইনিংস ও ১১৬ রানের বড় জয়।

ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং করেছেন হাসান।
ছবি: টুইটার

৬ উইকেটে ৩৭৪ রানে দিন শুরু করা পাকিস্তানের শুরুটা আজ ভালো হয়নি। গতকালের ৪০ রানের জুটিটা ৬১ পর্যন্ত টানতে পেরেছেন ফাওয়াদ আলম ও হাসান আলী। ৩০ রান করে হাসান আলী ফিরে যাওয়ার পর পাকিস্তান আর খুব বেশি এগোয়নি। ৩১ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে গেছেন ১৪০ রান করা ফাওয়াদ।

২৫০ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমেছিল জিম্বাবুয়ে। শুরুটা ভালোই করেছিল স্বাগতিক দল। কেভিন কাসুজা ও তারিসাই মুসাকান্দা ৪৮ রান এনে দিয়েছেন প্রথম উইকেট জুটিতে। হাসান আলীর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ফিরে যান কাসুজা। টানা শর্ট বল করে ফাঁদ পেতে লেংথ ইনসুইঙ্গারে কাসুজাকে এলবিডব্লু করেন হাসান।

উদ্বোধনী জুটিতেই একটু ভালো খেলেছে জিম্বাবুয়ে।
ছবি: টুইটার

হাসানে শুরু, হাসানেই শেষ। ৪৮ রানে প্রথম উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে নবম উইকেট হারিয়েছে ১৩৪ রানে। চোটের কারণে প্রিন্স মাসভরে নামতে পারেননি। অবশ্য বাকি সব ব্যাটসম্যান যেভাবে খেলেছেন, তাতে মাসভরে নামলেও স্কোরে কোনো হেলদোল হতো বলে আশা জাগে না।

কাসুজা ২৮ রান করে আউট হয়েছেন। অন্য ওপেনার মুসাকান্দা ৪৩ করে রানআউট হয়েছেন। অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর ওয়ানডে ছন্দে ২৯ রান তুলেই আউট। বাদবাকিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪ রান রেজিস চাকাভার। ক্যারিয়ার-সেরা ৩৬ রানে ৫ উইকেট হাসান আলীর। মাত্র ১২তম টেস্টে ৫০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁইয়ে ফেলেছেন এই পেসার।