জিম্বাবুয়েকে মুঠোর মধ্যেই রাখল বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ে ওপেনারকে তুলে নেওয়ার পর সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাস আল আমিনের। ছবি: প্রথম আলো
জিম্বাবুয়ে ওপেনারকে তুলে নেওয়ার পর সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাস আল আমিনের। ছবি: প্রথম আলো
>বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১১৯ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে

ওয়ানডে সিরিজে আগে ব্যাট করার সুযোগ পায়নি জিম্বাবুয়ে। শেষ ওয়ানডেতে তো টস জিতেও নিয়েছে ফিল্ডিং। প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও তা–ই। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতেই পছন্দ করে সবাই। কিন্তু অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ টস জিতে নিলেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। এ দুই সিরিজে জিম্বাবুয়ে বরাবরই রান তাড়ার চাপ নিয়ে হেরেছে। প্রতিপক্ষের ফাঁস খানিকটা আলগা করতেই কি বাংলাদেশ অধিনায়কের পরে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত!

মজা করে এমন ভাবতেই পারেন বাংলাদেশের সমর্থকেরা। দ্বিতীয় ওয়ানডে ছাড়া কোনো ম্যাচে জিম্বাবুয়ে তো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি। আজ আগে ব্যাট করেও তারা এমন বড় কোনো সংগ্রহ গড়তে পারেনি। ৭ উইকেটে ১১৯ রানেই থেমেছে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। সিরিজে রানখরার মধ্যে থাকা ব্রেন্ডন টেলরের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৮ বলে ৫৯ রানের ইনিংস। ৬ চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই সর্বনিম্ন স্কোর জিম্বাবুয়ের।

ঘরের মাঠে স্পিনবান্ধব উইকেটে চার পেসার নিয়ে খেলতে খুব বেশি দেখা যায় না বাংলাদেশকে। তাও আবার টি-টোয়েন্টিতে। আজ অবশ্য চার পেসার নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। অভিষেক ঘটল হাসান মাহমুদের। ইনিংসের প্রথম চার ওভারে চারজন আলাদা বোলারকে দিয়ে বল করিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। হাসান এসেছেন চতুর্থ ওভারে। ৩ রান দিয়ে শুরুটা করেছিলেন ভালোই। তার আগেই অবশ্য জিম্বাবুয়ে ওপেনার তিনাশে কামুনহুকামুয়েকে তুলে নেন আল-আমিন।

উইকেট না পেলেও অভিষেকে ভালোই বল করেছেন হাসান মাহমুদ। ছবি: প্রথম আলো
উইকেট না পেলেও অভিষেকে ভালোই বল করেছেন হাসান মাহমুদ। ছবি: প্রথম আলো

পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের আটকে রেখেছিলেন বোলাররা। এ সময় ১ উইকেটে ৩১ রান তুলতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। ক্রেগ আরভিন ও টেলরের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বেড়েছে রানের গতি। ১০ ওভার শেষে তাদের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৬২। অর্থাৎ ওভারপ্রতি গড়ে ছয়ের বেশি। কিন্তু ১২ থেকে ১৭তম ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে সফরকারীরা। এর মধ্যে নিজের প্রথম ওভারে প্রথম বলেই উইকেট পেয়েছেন আফিফ। আরভিনকে (২৯) ক্যাচে পরিণত করেন সৌম্যর। টেলর এক প্রান্ত ধরে রাখলেও অধিনায়ক শন উইলিয়ামস-সিকান্দার রাজারা কেউ টিকতে পারেননি। সিকান্দার নিজের দ্বিতীয় বলে সৌম্যর হাতে ‘জীবন’ পেলেও আউট হয়েছেন মাত্র ১২ রান করে। তাঁর স্লোয়ার বুঝতে না পেরে ক্যাচ দেন সিকান্দার।

১১ থেকে ১৫তম ওভারে জিম্বাবুয়ের রান তোলার গতি তুলনামূলক কমেছে। ১৫তম ওভার শেষে তাদের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৮৫। অর্থাৎ ওভারপ্রতি গড়ে ছয়ের নিচে নেমে আসে রান রেট। শেষ ৫ ওভারে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। শেষ দিকে অবশ্য উদ্ভাবনী কিছু শট খেলার চেষ্টা করেছেন টেলর ও মুম্বা। শেষ ৩০ বলে ৩৪ রান তোলার বিনিময়ে ৪ উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে।

অভিষিক্ত হাসান উইকেট না পেলেও বেশ ভালো বাউন্স আদায় করে নিয়েছেন উইকেট থেকে। ৪ ওভারে ২৫ রান দেন তিনি। তবে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সেরা বোলার মোস্তাফিজুর রহমান ও আল–আমিন। ২৫ রানে ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। ২২ রানে ২ উইকেট আল-আমিনের। ১টি করে উইকেট মেহেদী হাসান, আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের।