জুয়া খেলার অনুমতির কথা অস্বীকার পাকিস্তানের
পাকিস্তানি এক পত্রিকায় দাবি করা হয়েছিল পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) আয়োজনের সময় এ লিগ নিয়ে বাজি ধরার অনুমতি দিয়েছিল ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবি নাকি যুক্তরাজ্যভিত্তিক এক বাজিকর প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেছিল পিএসএল–সংক্রান্ত সব ধরনের বাজির স্বত্ব। যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাজি ধরা বৈধ হলেও এ খবর অস্বীকার করেছে পিসিবি।
এমন খবরের প্রতিবাদ বেশ কড়া ভাবেই দিয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড। বড় এক বিবৃতিতে পিসিবি জানিয়েছে, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কোনো ধরনের বাজিকর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে, বা কারও ব্যবসায়িক অংশীদার হয়েছে বা কোনো রকম সমঝোতায় গেছে, এমন সব ধরনের খবর পুরোপুরি অস্বীকার করছে।
‘সত্যিটা হলো, পিএসএল পাকিস্তানের বাইরেও লাইভ স্ট্রিমিং করা হয়। আর এ জন্য একটি আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক এক প্রতিষ্ঠানকে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনটি টুর্নামেন্ট সম্প্রচার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
'সেই প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছে অনুমতি না নিয়ে সেটা প্রচার করার দায়িত্ব এক বাজিকর প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে। পিসিবি যখনই এটা টের পেয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এ ব্যাপারে এখনো আলোচনা চলছে। যখন একটি পত্রিকা এ ব্যাপারে বোর্ডের মন্তব্য জানতে চেয়েছে, তখন তাদের এটাই বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা সেটা সঠিকভাবে প্রদর্শন করেনি।’
এ বছরের পিএসএলের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল শেষ করতে পারেনি পিসিবি। করোনাভাইরাসের কারণে এ তিন ম্যাচ পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে বোর্ড। আগামী নভেম্বরে পিএসএলের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচগুলো আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তান।