জুয়া বৈধ করার পক্ষে সাবেক বিসিসিআই সভাপতি

ভারতে খেলাধুলা নিয়ে জুয়ার বাজার অনেক বড়ফাইল ছবি

খেলাধুলায় ম্যাচ পাতানো নতুন কিছু না। ক্রিকেটে বাজিকরদের প্ররোচনায় ম্যাচ পাতানো কিংবা স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েন খেলোয়াড়েরা। অবৈধ এই জুয়ায় ক্রিকেটের চেতনাও হয় প্রশ্নবিদ্ধ। এর চেয়ে জুয়া বৈধ করে দেওয়াই ভালো নয় কি?

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর অন্তত খেলাধুলায় জুয়া বৈধ করার পক্ষে। অনুরাগের মতে, জুয়া বৈধ করে মূল ধারার অর্থনীতিতে সংযুক্ত করা হলে খেলাধুলায় ম্যাচ পাতানোর হার যেমন কমবে তেমনি রাজস্ব আয়ও হবে।

বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ সামলাচ্ছেন অনুরাগ ঠাকুর। এক অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের এক সদস্যের প্রশ্নে তিনি এমন কথা বলেন। পৃথিবীর অনেক দেশেই জুয়া বৈধ।

সেখানে জুয়াড়ি চক্রের অনেকেই ধরা পড়ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। সেই অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা কাউন্সিলের খণ্ডকালীন সদস্য নিতীশ শাহ জানান, ভারতীয়রা স্বভাবগতভাবেই জুয়ার প্রতি ঝুঁকে থাকেন।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে সভাপতির পদ সামলেছেন অনুরাগ ঠাকুর
ছবি: এএফপি

নিতীশ শাহ বলেন, ‘আমার মনে হয় বাজি ও জুয়া বৈধ করা উচিত। জুয়াড়ি ও বাজিকরেরা লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকলেও তাঁরা কিন্তু এ সমাজেই আছেন।’ তাঁর কথায় সায় দিয়ে অনুরাগ ঠাকুর জানান, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় জুয়া এবং বাজি বৈধ।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘ম্যাচ পাতানো সমস্যা নিয়ে যদি আমরা ভাবি, বাজির সূত্র ধরে বের করা হয় অবৈধ কিছু ঘটছে কি না। ফিক্সিং থামাতে বাজি কার্যকর এক অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে।’ অনুরাগ ঠাকুরের মতে, এমন ব্যবস্থায় যাঁরা ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত তাঁদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে।

জুয়া অবৈধ হলেও সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতে এর বাজার প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ কার্যক্রমই চলে ক্রিকেট নিয়ে।

ভারতীয় ক্রিকেটে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগও নতুন কিছু না। এ জন্য মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ও মনোজ প্রভাকরের মতো ক্রিকেটাররা শাস্তি পেয়েছেন।

কিছুদিন আগে এই আইপিএলের জুয়ায় হেরেই আত্মহত্যা করেছিলেন এক ডাব বিক্রেতা। এ ছাড়া জুয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে কিছুদিন আগে বিভিন্ন প্রদেশ থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। সে তালিকায় উঠে এসেছে রঞ্জি ট্রফি খেলা মুম্বাইয়ের সাবেক এক ক্রিকেটারের নাম—রবিন মরিস।