জয় নিয়ে অনিশ্চিত থাকা ওয়েডই অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক

ওয়েড যখন ক্রিজে আসেন, অস্ট্রেলিয়ার রান ৫ উইকেটে ৯৬। জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ছিল ৪৬ বলে ৮২ রান। সেই সময়ে ওয়েডের কাছে লক্ষ্য পেরোনোটা অসম্ভবই মনে হয়েছিল। কিন্তু অন্য প্রান্তে থাকা মার্কাস স্টয়নিস তাঁকে ভরসা দিয়েছেন। ওয়েড যে অতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না সেটা বোঝা যাচ্ছিল তাঁর ব্যাটিংয়েও। মুখোমুখি হওয়া প্রথম ৯ বলে রান করেছেন ৮। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি না সেই ওয়েডই অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক। ৯ বছর পর টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতলেন তিনি।

ম্যাচ শেষে ম্যাথু ওয়েড (ডানে)ছবি: রয়টার্স

১৩, ৪, ১, ২, ২২-বাংলাদেশ সফরে পাঁচটি টি-টোয়েন্টিতে এই ছিল ম্যাথু ওয়েডের রান। এমন একটি সফর শেষে তলানিতে চলে যাওয়া আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে আসেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে অস্ট্রেলিয়ার খেলা পাঁচ ম্যাচের মাত্র দুটিতেই ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন ওয়েড। সেই দুই ম্যাচেও তাঁর ব্যাটিং বলার মতো কিছু ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ বলে করেছেন অপরাজিত ১৫ রান। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮ রান করেছেন ১৮ বলে।

এমন পারফরম্যান্সের পর অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিল-ওয়েড কেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে! কিন্তু দলের সবচেয়ে প্রয়োজনে এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সেই ওয়েডই কি না জ্বলে উঠলেন ব্যাট হাতে। ১৭ বলে অপরাজিত ৪১ রান করে কাল দলকে জেতালেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। আর এই জয়ে ফাইনালে উঠে গেছে অস্ট্রেলিয়া, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ তাসমানিয়ান প্রতিবেশি নিউজিল্যান্ড। কাল অস্ট্রেলিয়াকে জেতাতে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ওয়েড।

ম্যাচ শেষৈ ম্যাথু ওয়েডকে নিয়ে স্টয়নিসের (ডানে) উচ্ছ্বাস
ছবি: রয়টার্স

ওয়েড যখন ক্রিজে আসেন, অস্ট্রেলিয়ার রান ৫ উইকেটে ৯৬। জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ছিল ৪৬ বলে ৮২ রান। সেই সময়ে ওয়েডের কাছে লক্ষ্য পেরোনোটা অসম্ভবই মনে হয়েছিল। কিন্তু অন্য প্রান্তে থাকা মার্কাস স্টয়নিস তাঁকে ভরসা দিয়েছেন। ওয়েড যে অতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না সেটা বোঝা যাচ্ছিল তাঁর ব্যাটিংয়েও। মুখোমুখি হওয়া প্রথম ৯ বলে রান করেছেন ৮। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি না সেই ওয়েডই অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক। ৯ বছর পর টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতলেন তিনি।

ওয়েডের আত্মবিশ্বাস হয়তো বেড়ে গেছে হাসান আলীর করা ইনিংসের ১৮তম ওভারে সেই ওভারে একটি করে ছয় ও চার মারেন তিনি। পরের ২ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য দরকার ছিল ২২ রান। শাহিন আফ্রিদির করা প্রথম বলে কোনো রান নিতে পারেননি স্টয়নিস। পরের বলে লেগ বাই থেকে আসে ১ রান। এরপর ওয়াইড থেকে একটি রান আসার পর ওয়েডের ক্যাচ ছাড়েন হাসান আলী। পরের তিন বলে টানা তিন ছয়ে ম্যাচ শেষ করেন ওয়েড।

ম্যাচ শেষে ওয়েড বলেছেন, ‘আমি যখন উইকেটে গেলাম, মার্কাস তাদের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে পারবে বলে আত্মবিশ্বাসী ছিল। আমি অবশ্য অতটা নিশ্চিত ছিলাম না। দলের প্রয়োজনে আমি অবদান রাখতে পারায় খুব খুশি।’ ওয়েডকে নিয়ে ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ বলেছেন, ‘ম্যাথু ওয়েড যেভাবে স্নায়ু ধরে রেখেছে সেটা অসাধারণ।’