টুইটারে সাহায্য চেয়ে স্পনসর পেলেন বার্ল

কেডসের ছবি দেখিয়ে সাহায্য চেয়েছেন বার্ল।ছবি: টুইটার

চার বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন রায়ান বার্ল। বিরাট কোহলি-বাবর আজম-বেন স্টোকসদের মতো বিখ্যাত নন, কিন্তু জিম্বাবুইয়ান এই ক্রিকেটার ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ভালোই পরিচিত। বিপিএলে নিয়মিত দেখা যায়। জিম্বাবুয়ের হয়ে তিন ফরম্যাটেই খেলেছেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজেও ছিলেন মাঠে।

এমন এক ক্রিকেটার কাল চমকে দিয়েছিলেন। টুইটারে সাহায্যের আবেদন করেছিলেন। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের করুণ অবস্থা টের পাইয়ে দেওয়া সে টুইট দেখে চমকে উঠেছেন অনেকেই। তবে ক্রিকেট দুনিয়াকে নাড়িয়ে দেওয়া সে টুইটে কাজ হয়েছে। কেডসের স্পনসর খুঁজে টুইট করার ১৭ ঘণ্টার মধ্যেই স্পনসর পেয়ে গেছেন বার্ল।

রায়ান বার্ল।
ছবি: টুইটার

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট যে আর্থিকভাবে ধুঁকছে, সেটা সবার জানা। কিন্তু দলটা কত তীব্র আর্থিক দুর্দশার মধ্যে আছে, সেটা আরও পরিষ্কার হলো বার্লের টুইটে। গতকাল জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, প্রতি সিরিজে তাঁদের পুরোনো জুতা পরে নামতে হয়।

জুতার তলা খুলে যাওয়ার পরও সেটায় আঠা লাগিয়ে পরের সিরিজের জন্য প্রস্তুত হন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা! গতকাল হতাশামাখা সে টুইটে বার্লের আকুতি টের পাওয়া যাচ্ছিল, ‘একটা স্পনসর পাওয়ার কোনো সুযোগ আছে কি, যাতে প্রতি সিরিজের পর জুতাগুলো আঠা দিয়ে লাগাতে না হয় আমাদের?’ টুইটের সঙ্গে নিজেদের কেডসের ছবি দিয়েছেন বার্ল। ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নিউ ব্যালেন্সের সে কেডসগুলো আঠা দিয়ে কীভাবে জোড়া লাগানো হয়, সেটা ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছিল।

টুইটে নিউ ব্যালেন্সের তিনটি টুইটার অ্যাকাউন্টকে ট্যাগ করেছিলেন বার্ল। আশা করেছিলেন, বর্তমানে যে প্রতিষ্ঠানের কেডস ব্যবহার করছেন, তারা হয়তো নতুন জুতা দেবে। বার্ল ট্যাগ করেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের বৈশ্বিক সংগঠন আইসিএ-কেও। বার্লের সে আবেদনে অনেক ক্রিকেট সমর্থকই দুঃখ প্রকাশ করেছেন। অনেকে ব্যক্তিগতভাবে তাঁর স্পনসর হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

এ ছবিটাই চমকে দিয়েছে সবাইকে।
ছবি: টুইটার

তবে এককভাবে কোনো ব্যক্তির সাহায্য নিতে হয়নি বার্লকে। ক্রীড়াসামগ্রী নির্মাণের জন্য বিখ্যাত আরেক প্রতিষ্ঠান পিউমা সুযোগটা লুফে নিয়েছে। দাঁড়িয়েছে বার্লের পাশে, বাণিজ্যের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী নিউ ব্যালেন্সকেও টেক্কা দিয়ে দিল এ জায়গায়। দুই ঘণ্টা আগে বার্লের টুইটের জবাবে পিউমার ক্রিকেট অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘আঠা ফেলে দেওয়ার সময় এসেছে, বার্ল। আপনার এ ব্যাপারটা আমরা দেখছি।’

এ টুইটের জবাবে উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন বার্ল, ‘পিউমার সঙ্গী হতে তর সইছে না আমার। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।’ একটু পরই পিউমাকে স্পনসর হিসেবে পাওয়ার খবরটা নিশ্চিত করেছেন বার্ল, ‘গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি আমি পিউমাতে যোগ দিচ্ছি। গত ২৪ ঘণ্টায় সমর্থকেরা যেভাবে সাহায্য করেছেন, এতেই এটা সম্ভব হলো। আপনাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব আমি। পিউমাকে ধন্যবাদ।’