টেন্ডুলকার সুস্থ হবেন ৩২ বছর আগের স্মৃতি মনে করে?

রোড সেফটি লিজেন্ড ক্রিকেটে খেলেন টেন্ডুলকার। এখানেই তিনি করোনা বাঁধিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ছবি: টুইটার

৩২ বছর আগে ১৬ বছরের এক কিশোর কী অসাধারণ দৃঢ়তায় দাঁড়িয়েছিল ইমরান খান, ওয়াকার ইউনিস, ওয়াসিম আকরামদের নিয়ে গড়া বিশ্বসেরা গতির আক্রমণের সামনে। খুব বেশি রান সে করেনি।

কিন্তু কিশোরটির অদম্য মানসিকতা সেদিন অবাক করেছিল সবাইকে। এমনকি ওয়াকারের বাউন্সারে রক্তাক্ত হয়েও কিশোরটি হাল ছেড়ে দেয়নি। বিশ্বকে শাসনের বার্তা সে জানিয়ে দিয়েছিল।

সেই কিশোর পরবর্তীকালে আসলেই ক্রিকেটের দুনিয়া শাসন করেছে। নিজের পায়ের নিচে নামিয়ে এনেছে ক্রিকেটের সম্ভব–অসম্ভব সব রেকর্ড। কিংবদন্তি হিসেবে ঠাঁই করে নিয়েছে ক্রিকেট ইতিহাসের বিভিন্ন অধ্যায়ে। গোটা একটা দেশ, একটা জাতির স্বপ্ন আবর্তিত হয়েছে তাঁর ভালো–মন্দ ঘিরে।

শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেক মুহূর্তটিই আজ মনে করলেন ওয়াসিম আকরাম। তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন সেই ‘ওয়ান্ডার বয়’র কীর্তি।

সেই টেন্ডুলকার আজ যখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, পাকিস্তানি কিংবদন্তি তখন তাঁকে শুভকামনা জানাতে গিয়ে মনে করিয়ে দিলেন ১৯৮৯ সালের নভেম্বর মাসের কথা, অভিষেকলগ্নে তাঁর সেই দৃঢ়তার কথা।

টুইটারে ওয়াসিম লিখেছেন, ‘এমনকি তুমি যখন ১৬ বছরের কিশোর, তখন বিশ্বের সেরা বোলারদের বিপক্ষে অসাধারণ দৃঢ়তা আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে মুখোমুখি হয়েছ। সুতরাং আমি নিশ্চিত যে তুমি কোভিড ১৯–কে বিশাল একটা ছক্কা মেরে দূর করে দেবে। দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠো কিংবদন্তি! দারুণ হবে যদি তুমি তোমার বিশ্বকাপ জয়ের দশকপূর্তির দিনটা হাসপাতালের চিকিৎসক আর নার্সদের সঙ্গে উদ্‌যাপন কর। ব্যাপারটা দারুণ হবে। ছবি দিতে ভুলে যেয়ো না কিন্তু!’

টেন্ডুলকার এত দিন বাড়িতেই ছিলেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কিছুটা সতর্কতা হিসেবেই। কিছুদিন আগে মাঠে ফিরেছিলেন টেন্ডুলকার, রোড সেফটি লিজেন্ড ক্রিকেটে ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটারদের দলের হয়ে। সেখানেও তিনি ছিলেন দুর্দান্ত।

২০০ টেস্ট খেলে ক্রিকেট ছেড়েছিলেন ৮ বছর আগে। কিন্তু লিজেন্ড ক্রিকেটে তাঁর খেলা দেখে মনেই হয়নি, তিনি এত দিন আগে খেলা ছেড়েছেন। তবে এই লিজেন্ড ক্রিকেটকেই করোনার কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারতের রায়পুরে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে জৈব সুরক্ষা বলয় ও স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারগুলো ছিল বেশ দুর্বল, অভিযোগ উঠেছে এমনই।

গত কয়েক মাসে এ উপমহাদেশে করোনা সংক্রমণের হার অনেক কমে গেলেও গত কয়েক সপ্তাহে এই হার ঊর্ধ্বমুখী। ভারতেও হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। এর মধ্যে টেন্ডুলকারের আবাস মহারাষ্ট্র প্রদেশ ও এর রাজধানী মুম্বাইয়ে করোনা সংক্রমণের হার ও পরিমাণ দুইই ভারতে সবচেয়ে বেশি।