টেস্ট অভিষেকের মাসেই আইসিসির সেরা কনওয়ে

নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ডেভন কনওয়ে।ফাইল ছবি: এএফপি

নাসের হুসেইন বলেছিলেন, হাঁস যেমন পানিতে স্বচ্ছন্দ, ডেভন কনওয়ে টেস্ট ক্রিকেটে তেমনই। লর্ডসে স্বপ্নের মতো অভিষেক, এরপর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সর্বোচ্চ স্কোর—টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের পর টেস্টেও কনওয়ে আবির্ভাবেই আলো ছড়িয়েছেন। এবার পেলেন আইসিসির পুরস্কারও। জুন মাসে ছেলেদের বিভাগে সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এ মাসে মেয়েদের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন ইংল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার সোফি একলস্টোন।

লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন কনওয়ে, অভিষেকে এমন কীর্তি গড়া মাত্র সপ্তম ব্যাটসম্যান তিনি। পরের টেস্টেও করেছেন ফিফটি। এরপর আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম ইনিংসে করেছেন ৫৪ রান, ম্যাচে এর চেয়ে বড় ইনিংস ছিল না আর কারও।

এ পুরস্কারে কনওয়ে পেছনে ফেলেছেন তাঁর কিউই সতীর্থ কাইল জেমিসন ও প্রোটিয়া উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কককে। জেমিসন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের ম্যাচসেরা ছিলেন। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দারুণ এক সময় গিয়েছিল ডি ককের।

ডাবল সেঞ্চুরির পর ডেভন কনওয়ে।
ফাইল ছবি: এএফপি

আইসিসির এমন স্বীকৃতি পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত কনওয়ে, ‘এ পুরস্কার পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি। টেস্ট ক্রিকেটের পারফরম্যান্সের কারণে এটি পেয়েছি, ফলে এর বিশেষত্বটা আরও বেশি।’

কনওয়ে জানিয়েছেন এ মাসের পারফরম্যান্সকে ভুলবেন না, ‘লর্ডসে ডাবল সেঞ্চুরি করা স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মতো ব্যাপার। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল জয়ে অবদান রাখার ঘটনার দিকেও ভবিষ্যতে ফিরে তাকাব।’

গত মাসে এ পুরস্কার জিতেছিলেন মুশফিক।
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

কনওয়ের মতো একলস্টোনের ক্ষেত্রেও বিবেচ্য হয়েছে ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের একমাত্র টেস্টে তাঁর পারফরম্যান্স। রোমাঞ্চকর ড্রয়ে শেষ হওয়া সে টেস্টে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন একলস্টোন। এরপর সে মাসে হওয়া দুই ওয়ানডেতেও তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন তিনি। একলস্টোন এ পুরস্কার জিতেছেন ভারতের শেফালি ভার্মা ও স্নেহ রানাকে পেছনে ফেলে।

গত মাসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ছেলেদের বিভাগে এ পুরস্কার জিতেছিলেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশি উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান পেছনে ফেলেছিলেন পাকিস্তানের হাসান আলী ও শ্রীলঙ্কার প্রভিন জয়াবিক্রমাকে।

এ বছর থেকেই প্রতি মাসের জন্য একজন করে ছেলে ও মেয়ে ক্রিকেটারকে বাছাই করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে আইসিসি। প্রথমে তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে নির্বাচন করা হয় একজনকে। আইসিসির একটা ভোটিং প্যানেলের সদস্যদের থাকে ৯০ শতাংশ ভোট, বাকি ১০ শতাংশ ভোট দিতে পারেন সমর্থকেরা। প্রতি মাসের দ্বিতীয় সোমবার ঘোষণা করা হয় এ পুরস্কার।