তাইজুলের চোখ শ্রীলঙ্কা সিরিজে
বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফরটা দুলছে অনিশ্চয়তার সুতোয়। তবুও খেলোয়াড়েরা আশায়, সব অনিশ্চয়তা পেছনে ফেলে যথা সময়েই তিন টেস্টের সিরিজটা হয়ে যাবে। সে আশাতেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন তাইজুল ইসলামও।
ছোট ছোট ভাগে ভাগ হয়ে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। দলের কোচিং স্টাফের বেশির ভাগ সদস্য এখন মাঠে থেকে তত্ত্বাবধান করছে খেলোয়াড়দের অনুশীলন। সব প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা সফর সামনে রেখে। সংশয়ের মেঘ কেটে সফরটা শেষ পর্যন্ত হবে—এটি ধরেই তাইজুল আজ বলেছেন, ‘ক্রিকেটার বা যে খেলোয়াড়ই হোক, এত দিন খেলার বাইরে থাকাটা খুব কঠিন। আমরা সব সময়ই খেলতে পছন্দ করি। সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজটা হলে আমরা সবাই আবার মাঠে ফিরতে পারব। আগের পরিস্থিতিতে ফিরতে পারলে ভালো লাগবে।’
সিরিজ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও তাইজুল নিজের কাজটা ঠিকঠাক করে যাচ্ছেন। বৈচিত্র্য এনেছেন অ্যাকশনে। নিজস্ব অ্যাকশন তো আছেই, বাঁহাতি স্পিনার এখন কিউই কিংবদন্তি ড্যানিয়েল ভেট্টোরির অ্যাকশনেও বোলিং করতে পারেন। অ্যাকশনের পরিবর্তন নিয়ে তাইজুল বলছিলেন, ‘ভেট্টোরির সঙ্গে কথা বলেছি আমার অ্যাকশনের বিষয়ে। মাঝে অ্যাকশন বদলেছিও। ব্যাটসম্যানদের সেই অ্যাকশনে বোলিংও করছি। আমার শরীরের সঙ্গে অ্যাকশনটা মানিয়ে গেছে। দুই ঘণ্টা বোলিং করতেও সমস্যা হয় না।’
অ্যাকশন বদল করা সব সময়ই কঠিন কাজ। কিন্তু তাইজুল এতে সুবিধাই দেখছেন বেশি, ‘আমার পুরোনো অ্যাকশনে জায়গায় বল করার সুবিধা ছিল। কিন্তু ওই অ্যাকশনে তিন সংস্করণে খেলা চালিয়ে নেওয়া কঠিন। বৈচিত্র্য কম ছিল। নতুন বোলিং অ্যাকশন নিয়ে ভেট্টোরির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বললেন, এটা দিয়ে তিন সংস্করণে খেলতে পারব। ভালো ফলাফল পাচ্ছি ব্যাটসম্যানদের বোলিং করে। নতুন অ্যাকশনটা বৈচিত্র্যের দিকে অনেক সাহায্য করছে ।’
ভেট্টোরি এখনো ঢাকায় আসেননি। সাবেক কিউই অধিনায়কের শ্রীলঙ্কায় দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা। তবে বাংলাদেশ দলের স্পিন পরামর্শকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তাইজুল।