তামিম বুঝলেন কথাটা, তবে ম্যাচ শেষে

ম্যাচ শেষে তামিম করলেন আত্ম সমালোচনা।ছবি: এএফপি

নিউজিল্যান্ড না হয় বড় রানই করে ফেলেছে। কিন্তু এ যুগে ৩১৮ রান কি তাড়া করা যায় না? আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর চেয়ে বড় বড় লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে ম্যাচ জেতার নজির দেখা যায় প্রতিনিয়ত। আর আজ শুক্রবার ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ড স্কোরবোর্ডে ৩১৮ রান তুলে ফেলার পরপরই ম্যাচের আশা ছেড়ে দিল বাংলাদেশ!

অধিনায়ক তামিম ইকবাল কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না এ অসহায় আত্মসমর্পণ। ৩০০ ছড়ানো রান তাড়া করতে হলে টপ অর্ডারে যেকোনো একজনের বড় ইনিংস খেলতে হতো। বাংলাদেশের হয়েছে উল্টোটা। প্রথম ১০ ওভারে ২৬ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ঢুকে পড়তে হয়েছে খোলসে। ঢিমেতালের ব্যাটিংয়ে কেবল বিরক্তিরই উদ্রেক করেছেন ব্যাটসম্যানরা। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ ৭৩ বলে ৭৬ রান করেছেন ঠিকই, কিন্তু ততক্ষণে আর কিছুই করার নেই। তাঁর ইনিংসে ভরাডুবির মাত্রাটাই কেবল কমেছে।

কিছুই করতে পারলেন না লিটন।
ছবি: এএফপি

তামিম নিজেও ছিলেন ব্যর্থ। মিছিলটা শুরু তাঁকে দিয়েই। তিনি দুষছেন ব্যাটসম্যানদের শট নির্বাচনকেই, ‘যেভাবে আমরা ব্যাটিং করেছি, সেটা মানা যায় না। আপনি ভালো বল পেতে পারেন, কিন্তু ধৈর্য ধরতে হবে। বিশ্বের এ প্রান্তে খেলতে এলে বল একটু মুভমেন্ট করবে, একটু বাউন্স করবে। কিন্তু এখানকার উইকেট ব্যাটিং–সহায়ক। টিকে থাকলে আপনার সময় আসবেই। আমরা অনেক বেশি আলগা শট খেলেছি। ১০ ওভারেই তিন উইকেট নেই। ম্যাচ ওইখানেই শেষ।’

আজও ব্যাট হাতে বেশিদূর যেতে পারেননি মুশফিকুর রহিম।
ছবি: এএফপি

আজ আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ শুরুতে কিউইদের চাপে রাখলেও সেই পুরোনো ব্যাধিতেই পেয়ে বসে বাংলাদেশ দলকে। বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগটাই নিউজিল্যান্ড নিয়েছে পুরোপুরি।

তামিমকেও বাজে ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারটি পোড়াচ্ছে, ‘আমরা বল হাতে ভালোই শুরু করেছিলাম। তবে ওদের দুই ব্যাটসম্যান ভালো খেলেছে। মাঝেমধ্যে ছোট ছোট জিনিস বেশি কষ্ট দেয়—ক্যাচ মিস, রানআউট। ওরা ভালো খেলেছে। তবে আমরাও খুব ভালো করিনি।’

বাংলাদেশের জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো। ওয়েলিংটনের এ মাঠে সর্বোচ্চ তাড়া করে জেতার রেকর্ড পাকিস্তানের। সেই ১৯৮৯ সালে ২৫৪ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছিল তারা। আজ সেটিকে ছাপিয়ে অনেক দূরই যেতে হতো বাংলাদেশকে। কিন্তু বাংলাদেশ তো সে চেষ্টাই করল না যেন!