তামিম-মিঠুন এনে দিলেন ২৭১ রান

দারুণ খেলেছেন মিঠুন।
ছবি: টুইটার

মোহাম্মদ মিঠুন কালই বলেছিলেন, ডানেডিনের দুঃস্বপ্ন ভুলতে ক্রাইস্টচার্চে দায়িত্বশীল হতে হবে ব্যাটসম্যানদের। বোলিং কোচ ওটিস গিবসন বলেছিলেন, ব্যাটসম্যানরা যদি স্কোরবোর্ডে কমপক্ষে ২৬০–২৭০ রান তুলতে না পারেন, তাহলে লড়াইয়ের কথা বলে লাভ নেই। বাংলাদেশ দল আজ লড়াইয়ের রসদ ঠিকই জোগাড় করে নিল।

মিঠুন প্রমাণ করলেন, কাল যে কথাগুলো তিনি বলেছিলেন, সেটি বলতে হবে বলে বলা নয়, তিনি মনেপ্রাণে সেটি বিশ্বাস করে কার্যে পরিণত করার প্রত্যয় নিয়েই তা বলেছিলেন।

প্রথমে তামিম ইকবাল খেললেন অধিনায়েকাচিত এক ইনিংস। এরপর মিঠুনের ফিফটিতে বাংলাদেশ আজ স্কোরবোর্ডে তুলেছে নিউজিল্যান্ডকে মোকাবিলা করার মতো এক সংগ্রহ। এটি বেশি না কম, সে আলাপে না গিয়ে বলা যায়। এই সংগ্রহে অন্তত লড়াই করার প্রেরণা পাবেন বাংলাদেশের বোলাররা। ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৭১।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে আরেকটি দুঃস্বপ্নের ইঙ্গিতই পেয়েছিল দল। দলীয় ৪ রানের মাথায় ম্যাট হেনরির বলে উইল ইয়ংকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস। এরপর অবশ্য তামিম ইকবাল আর সৌম্য সরকার প্রাথমিক ধাক্কা সামলান। ৮১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। ব্যক্তিগত ৩২ রানে স্যান্টনারের বলে স্টাম্পড হয়ে ফিরে দারুণ একটা সম্ভাবনার ইতি টানেন সৌম্য। তবে অন্যদিকে তামিম এগিয়ে যাচ্ছিলেন বড় ইনিংসের দিকেই।

যদিও তাঁর ইনিংস ছিল কিছুটা ধীরগতির। হাত খোলার আগেই রানআউটের দুর্ভাগ্যের শিকার হন ব্যক্তিগত ৭৮ রানে। ১০৮ বলে তাঁর ৭৮ রানের ইনিংসে ছিল ১১টি বাউন্ডারি। মুশফিকুর রহিমের ডাকে সাড়া দিয়ে দ্রুত একটি রান নিতে গেলে জিমি নিশাম পা দিয়ে বলে টোকা মেরে ভেঙে দেন তামিমের স্টাম্প।

থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি মুশফিক।
ছবি: টুইটার

মুশফিক ৩৪ রান করেছেন। তবে তিনিও বল ব্যবহার করেছেন অনেক। ইনিংসের যে পর্যায়ে ব্যাটিং করছিলেন, তাঁর কাছ থেকে আরও দ্রুতগতিতে রান তোলার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সেটি তিনি করতে পারেননি। তবে তামিমের রানআউটের পর উইকেটে এসে মিঠুন সে ঘাটতিটা পুষিয়েছেন অনেকটাই। দারুণ একটা ইনিংস খেললেন মিঠুন।

বলের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকা ইনিংস। ৫৭ বলে ৭৩ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৬০ রানে একটা জীবন পেয়েছিলেন। কিন্তু সার্বিক দিক দিয়ে মিঠুনের ইনিংসটি ছিল দুর্দান্ত। ৬টি চার আর ২টি ছক্কা ছিল এতে। খেলেছেন উইকেটের চারদিকে। কিউই বোলারদের বানিয়েছেন অসহায়। মূলত তাঁর বীরত্বেই বাংলাদেশের ইনিংস ২৭০ পেরিয়ে যেতে পেরেছে।

৫১ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিক-মিঠুন।
ছবি: টুইটার

শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ ১৮ বলে ১৬, মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৭ রান করে মিঠুনকে কিছুটা সহায়তা করেছেন। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের জন্য আজ ছিল হতাশারই দিন। ট্রেন্ট বোল্ট ১০ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন কাইল জেমিসন ও ম্যাট হেনরি। রান দিয়েছেন যথাক্রমে ৪৮ আর ৩৬ করে।

স্বাগতিকদের সেরা বোলার ছিলেন মিচেল স্যান্টনার। ২ উইকেট পেয়েছেন, যদিও তিনি ১০ ওভারে রান দিয়েছেন ৫১। তামিমকে রানআউট করা নিশাম ৯ ওভারে দিয়েছেন ৭৩ রান।